বস্তির মাঝে দেখ ফুলমতির বাস
রাস্তার পাশে সে করে ফুল চাষ।
মা ঘরে অসুস্থ দানাপানি নাই
জন্মের পর সে বাব দেখে নাই।
মায়ের কাছে শুনেছে বাবার কথা
বাবার গল্প শুনে বেড়েছে যে ব্যথা।
বাবা ছিল পাশে যখন, সুখের অন্ত নাই
রিক্সা চালিয়ে তখন, আনতেন সদাই।
হঠাৎ একদিন খবর এলো রাস্তার পাশে
এক্সিডেন্ট করে বাবার দেহ হলো লাশে।
ফুলমতি ছিল তখন মায়ের পেঠে
ফুলমতির কপালে যেন দুঃখ ফুটে।
বাবার পরে নিতে হলো, মাকে দায়ভার
পেঠে নিয়েই মা করেন, খাবার যোগাড়।
ফুলমতির আগমনে কিছু দিনকাল
জমানো টাকা দিয়ে মিটেছে আকাল।
ফুলমতির সাথে কাটে মায়ের জীবন
ফুলমতির পাশে আজ কেউ নেই আপন।
বুয়ার কাজ করে মায়ের জীবন বাঁচে
ফুলমতির বয়স এখন হলো চার, পাঁচে।
ফুলমতির মায়ের হঠাৎ কি যেন হলো
অসুস্থ হয়ে তার কাজ কাম গেলো।
ফুলমতি নিতে হলো পরিবারের হাল
ফুলমতি ফুল বেচে করে দেখভাল।
ফুলমতি ফুল বেচে পার্কের ভিতর
ফুল কিনে কতো জনের ভরে অন্তর।
ফুলমতি রয়ে গেলো ফুলের মতো
অন্যকে সুখ বিলায়, ব্যথা নিয়ে শতো।