মাথা থেকেই শুরু হয় মাছের পচন;
ছোটবেলা থেকে শুনছি এ ভজন।
মাছ কিনতে তাই কান উল্টিয়ে দেখা;
ছোটবেলায় বাবার কাছে শেখা।
সমাজপতির চরিত্র যখন নষ্ট;
সমাজের পচন দিবালোক তুল্য স্পষ্ট।


আমরা জানি রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট;
প্রজা সাধারণের বারে কষ্ট;
বিদায় নেয় শ্রেষ্ঠ চারদিকে ঘোরে দুষ্ট;
দেখে বিধাতাও হয় রুষ্ট।
সারা রাজ্য জুড়ে চলে হাহাকার;
সময় নেই রাজার প্রজা পানে তাকাবার।  


চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায় ঘন তমশায়;
সৎ লোক করে শুধু হায় হায়।
ন্যায় নিষ্ঠা সমাজ থেকে নেয় বিদায়;
কেহ নিতে নাহি চায় সমাজের দায়।
চাটুকারের আসর বসে রাজ সভায়;
ন্যায় শান্তি কল্যাণ রাজ্য থেকে নেয় বিদায়।  

পিতা-মাতার ঘরে জন্ম নেয় অবোধ সন্তান;
শিক্ষক করেন তাদের জ্ঞানবান।
সেই শিক্ষক যদি হয় দুরাচার শয়তান;
তার কাছে শিক্ষার্থী পাবেনা সঠিক জ্ঞান?
শিক্ষায় না যদি হয় চরিত্র গঠন;
অসম্ভব দেশ জাতি আর সমাজের উন্নয়ন।


শিশু শিক্ষার্থী আজ ধর্ষিত শিক্ষক দ্বারা
যৌনাঙ্গে ফিনকি দেয় রক্তের ধারা।
বেশি নাম্বারের লোভের ফাঁদ পাতে শিক্ষক;
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর দেহ করে ভোগ।
মনে হয় আমরা নরকের যাত্রী;
দিবসে ঘনিয়া আসে তিমির কালো রাত্রি।


শিক্ষকের কাছে ছাত্রী যখন নহে নিরাপদ;
চারদিক ঘন তমসা মহা বিপদ।
স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়;
সর্বত্র ছড়িয়েছে নৈতিকতার চরম অবক্ষয়।
শিক্ষক চরিত্র যদি হয় অবনমন;
কখনই সম্ভব নয় জাতীর চরিত্রের উন্নয়ন।

শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়;
বিদ্যা-জ্ঞানের মহাসমুদ্র বলা হয়।
সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠান,
ভাইস চ্যান্সেলর মহাজ্ঞানী মহাবিদ্যান।  
তার দুর্নীতির খবর আসে পত্রিকায়;
মরে যেতে ইচ্ছা করে অপমানে লজ্জায়।


মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বিচারালয়;
সেখানে দুর্নীতি খবর মনে জাগে ভয়।
কোথা পাবে মানুষ আশ্রয়?
তবে কি জাতির হবে পরাজয়?
রক্ষক যদি হয় ভক্ষক;
উপায় কি রইলো আর করতে সুখ ভোগ?  


বড় দুঃসময়ে এ দুনিয়ায় আমাদের বাস;
বন্ধ হয়ে যাবে বুঝি নিঃশ্বাস।
চরিত্র গঠনে বিদ্যা যদি হয় ব্যর্থ;
সে বিদ্যার নেই কোন অর্থ।
বিচারালয় যদি হয় নীতি জ্ঞানহীন;
বিধাতাও পারবেনা রুখতে সে দেশের দুর্দিন।
তারিখ: ২৬-০২-২০২৩ ইং


প্রথম দুটি অংশ ইতিপূর্বে প্রচারিত হয়েছে। তারপরও পাঠকদের সুবিধার্থে পুরো কবিতাটা আজ এখানে তুলে দিলাম। সবাই ভালো থাকবেন প্রিয় কবি বন্ধুরা।