যে যুদ্ধ করে দেশের জন্য দেয় প্রাণ,
সন্দেহ নেই তিনি বীর।
যিনি মাটির বুক বিদীর্ণ করে ফসল ফলান,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, নিজে অভুক্ত থেকে,  
সবার মুখে তুলে দেন খাবার,
তার মত বীর পাবে কি ত্রিভুবন খোঁজে?


যে কবি লেখেন কবিতা,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন,
ন্যায়ের চিত্র সবার সামনে তুলে ধরেন,
ধরণীর বুকে তিনিও মহাবীর।
যে ডাক্তার  চিকিৎসা করেন,
মুমূর্ষ মানুষের জীবন বাঁচান,
রুগ্ন সন্তান সুস্থ করে তুলে দেন মায়ের বুকে,  
তবে তিনি কি? তার বীরত্ব কি অবহেলার?


শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর,
সন্তানকে শিক্ষা দিয়ে করেন মানুষ;
এই বীরকে ছোট করার নাই সুযোগ।
রিক্সাওয়ালা রোদ ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে  
যাত্রীদের পৌঁছে দেন গন্তব্যে।
নিজ পরিজনের মুখে তুলে দেন ক্ষুধার অন্ন।
তার জীবন যুদ্ধ বীরত্ব ছোট করবে কি দিয়ে?


যে বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের সাধনায় নিমজ্জিত,
মানুষের কল্যাণে দিবানিশি থাকেন ব্যস্ত,
যার আবিষ্কারে মনুষ্য জাতি সমৃদ্ধ,
তিনিও নিশ্চয়ই মহাবীর।
ন্যায়ের সাধনায় নিমজ্জিত যে সাধক,
অহর্নিশি চেষ্টা যার মানব কল্যাণে,
যিনি বহন করেন ন্যায়ের পতাকা,
তিনিও নিশ্চয়ই বীর।        


সৎকর্ম মানুষকে করে তোলে মহান।
যিনি করেন এই সৎকর্ম,
যার কর্ম মানুষের কল্যাণে হয় পরিচালিত,
যার কর্মে মানুষ লাভ করে সুখের ঠিকানা,
যার কর্মে শ্রদ্ধায় অবনত মানুষের মস্তক;
সেই তো প্রকৃত মহাবীর;  
তারিখ: ২০-০৪-২০২৪ ইং;


আসরের স্বনামধন্য কবি গোপাল চন্দ্র সরকারের "বীরোচিত ধর্ম" সিরিজ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই কবিতাটি লেখলাম।
তাই পরম শ্রদ্ধাভাজন কবি গোপাল চন্দ্র সরকারকে আমার এই কবিতাটি উৎসর্গ করলাম।