আদরে সোহাগে থাকতো যে খোকন
আজ পড়ে আছে রাস্তায় ,
পথের মাঝে নাম হবে কি, সে একজন টোকাই ?
কত স্বপ্নের পাহাড় গড়ে
খোকনের বাবা মা
এসেছে জীবিকার খোঁজে রঙিন শহর ঢাকায়,
বড় হবে তাঁদের খোকন শোনা এই শহরে ,
চলে যাবে আবার স্বপ্ন পূরণ করে ,
নিজেদের ফেলে আসা ঘরে।
এত বড় স্বপ্ন হবে কি পুরন ?
ভাবতে মায়ের অশ্রু ,
বুঝেনা খোকন দ্যাখে মায়ের কান্না ,
মাঝে মাঝে হাত বাড়িয়ে দেয়
আসবে বলে মায়ের কোলে ।
তবে কি জেনেছে খোকন ,
তার বাবা মা রাত্রি পোহালে যাবে চলে ?
বরিশালের ভোলা লালমোহন থেকে লঞ্চে চড়ে আসা ,
ঢাকা এসে দ্যাখে একি ! রাস্তা কেন ফাঁকা ?
মাঝে মাঝে দু একটা বাস সাথে চলছে কিছু রিক্সা ,
তাড়াতাড়ি করে উঠে পড়লো বাসে , খোকন মায়ের কোলে ।
হাসি খুসি মাখা খোকনের মুখ দ্যাখে জুরাই মায়ের প্রাণ
কে জানে, কিছুক্ষন পরে দেখবেনা এই হাসি, হয়ে যাবে অম্লান ।
হাওয়া ভেসে চলছে গাড়ি উদ্দেশ্য যাবে যাত্রাবাড়ী ,
হটাৎ কোথা থেকে এসে পড়ল পেট্রোল বোমা নাম ।
দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন সাড়া গাড়ী জুরে
খোকন তখন থেকে ছিল ঘুমে ওর মায়েরি কোলে শুয়ে ।
খোকনের বাবা মা ফেলে দিলো খোকনকে বাঁচল খোকন
হারাল বাবা মাকে ,
চারদিকে হৈচৈ আগুন আগুন ধ্বনি
পুড়ে গেলাম মোরা! বাঁচাও আমাদের বাঁচাও ! !
আসেনা কেহ শুনেনা আহাজারি ।
কোথা থেকে এক পাগল এসে নিয়ে গেলো খোকন কে,
মাথা ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে পাগলের গায়ে !
মাঝে মাঝে খোকন মাথা লুকিয়ে
চুমো খাচ্ছে পাগলের মূখে ,
শেষ হয়ে গেলো খোকনের জীবন
খোকন এখন রাস্তার টোকাই,
যেখানে দিন শেষ সেখানেই ঘুমিয়ে পরে ।
তবে বল, আর কত চাও ধ্বংস জীবন ?
খোকনের মত আর কত বাবা মাকে দিতে হবে জীবন
বলে দাও তোমরা বলে দাও ।