আজকের অপরাহ্নের আকাশ সে হয়তবা আমার জন্য
আমি বিষন্ন ছিলাম তাই সে মেঘাচ্ছন্ন,
আমি মস্তবড় এক শোকে কেঁদেছিলাম খুব
পাপড়ি ভেজেনি চোখের
তাই সে অঝর ধারায় ঝরেছিল।
এক পৃথিবীর বুকে আমি ক্ষুদ্রাতিশয়
বর্ষণে মাঠ ঘাট থৈ-থৈ, অথচ
কচুপাতার মতো আমার ভেতরকার
হাহাকার শূন্যতার অতিশায়ন অক্ষত ছিল,
আমার চঞ্চলতার পুরুত্ব নিবৃত করতে পারেনি আমায়।
এক আধটু অশ্রয়ের নিমিত্তে ছুটে গিয়েছিলাম
তুরাগ নদীর বিদির্ণ বক্ষে
গর্ভে তার অজস্র জলকণা অসংখ্য প্রাণীর আধার।
উড়ে যাওয়া গাঙচিল আর সাদা বক
শতদলের লোকচুরি, জলছোঁয়া শীতল পবন
অবসান করেছিল মনের হুতাসন।
মাছরাঙ্গা ওই মাতাকে ভেদ করে আহারাদি জোটায়
তার শীতল মায়া আমায় যেন বেঁধেছিল ওই ক্রোড়ে
আমারে শান্ত করেছিল ঠাই দিয়েছিল বুকে
কেঁদেওছিল আমার বেদনার শোকে,
ওই নদী মাতা.....
                       ২৮-০৭-১২ইং