আমরা আগে সন্ধ্যা হলে প্রদীপ জ্বেলে বসছি,
টেবিলটারে বই সাজিয়ে পড়াগুলো কষছি।
বিকেল হলে অংক করতাম আসর নামাজ তামাত,
রাতের বেলার পড়ার জন্য বই রাখতাম নামত।
এখন দেখি উল্টো কথা গড়ায় বিকেল ঠিকই,
টেবিলটা কি শূন্য ফাঁকার পর্দার ঝিকিমিকি।
সন্ধ্যা হলে স্যারের ভয়ে পড়তাম খুলে বই,
এখন দেখি ফেসবুকেতে সবাই পড়ে রই।
আমরা যখন বই পড়েছি না জানিলে অর্থ,
নিদ্রা গুলি তন্দ্র হতো স্যারের মারের শর্ত।
দশটা বাজলে ঘুমে ধরত চোখ বানিয়ে জুড়,
এখন দেখি দুটো বাজে ঘুম এখনো দূর।
পরীক্ষাটা ঘনালে তার চিন্তাতে ঘুম বালিশ,
পড়া ছাড়া বেড়ুলু যার হতো হাজার নালিশ।
আমরা দেখছি পড়া ছাড়া নকল দিয়ে চাষ,
এখন দেখি ফেসবুকে তে প্রশ্ন আউট ফাঁস।
আমরা যখন বই পড়েছি শুনছে পাশের বাড়ি,
স্যার বলেছে জোরে পড়লে থাকে মনে তারি।
সকালবেলা রাতের পড়া দিতাম রিভিশন,
বাকি পড়া শেষ করিবার হইতেযে অনশন।
এখন দেখি ইনবক্সে তে সকাল সকাল ঢুকে,
রিপ্লে হচ্ছে চ্যাটং হচ্ছে হাসিখুশি মুখে।
ঘর থেকে তা মানা করে ইনপরটেন্ট কী দেখে,
গুগল থেকে খুঁজে খুঁজে বলছে তথ্য ও দেখে।
হায়রে যুগ তুই করছিস সহজ পাঠশালাতে ধস,
অবাক হয়ে চেয়ে থাকি ফাঁকিবাজির যশ।