মণিকোঠা
জুনায়েদ খান প্রান্ত
----------------------
চোখের মণিকোঠার কোণের দিকে দেখিয়ে,
তুমি হাস খিলখিল করিয়া না বুঝে!
দেখিয়াছি নিজের প্রাণ চাহিয়া উল্লাসে,
নিশি রাতদিন কাটে সাবধানে সর্বাঙ্গ জুড়িয়া।
আপনপর ভুলিয়া দক্ষিণপবনভরে পরিহাস,
আমি তাই লাজে যাই মরিয়া স্রোতশ্রীনি ধারাতে।
পুলকব্যাকুল হিয়া অঙ্গ জুড়ে ওঠে যে শিহরিয়া,
সতত রাখিতে আর পারিনা ধরিয়া রুদ্ধশ্বাসে।
আমার অন্তরদামী চেতনা জাগে অবেলাতে,
কেন যেন লেখা আসেনা ভিতর থেকে?
নাকি অসময়ের শব্দভেলা রয়েছে থমকিয়া?
আঁধারের আলোতে বদ্ধ ঘরে বসিয়া সংগোপনে
রদ্ধ হবে যখন শ্বাস অর্ধেক জানালা খুলিয়া,
অফুরন্ত জীবনীশক্তি নিবো আহরণ করিয়া।
সূর্য রশ্মির ছোঁয়াতে সমীকরণ গুলো যায় গুলিয়ে,
বসি গিয়ে বাতায়নে স্বপ্ন ডোর রোদ্দুরে ঝলমলে আলোতে।
ক্ষণতরে পুষ্প বাসর সাজিয়ে বক্ষ পিঞ্জরে,
অঙ্গখানি নবযৌবনকে ভালোবেসে হেনকালে।
পুষ্পের গন্ধ ভাসে খোলা-আকাশে স্বপ্ন বলে,
কিছুই আর থাকেনা তো স্মৃতির নীতিতে।
এমনি করে সকলবেলা ধরনীতে চঞ্চল খেলা,
নবীন শির যায় লুটিয়ে কোনো একদৃশ্যপটে।
হৃদয় প্রাণ সকল কিছু করিবো দান মুক্ত প্রাঙ্গনে,
শুধু রাখবো শরমখানি নিজহাতে সযত্নে মুড়িয়ে।
আঁখি জোড়া মেলে দেখেছ কী ধরনী অন্তরালে?
নাকি মণিকোঠা এখনো রেখেছ বন্ধ অন্ধকারে।