পুবের আকাশ জুড়ে ঘন কালো মেঘ
জোছনা স্নাত গভীর এ রাতে
চাইছে এ মন তোমায় ছুঁয়ে থাকতে।


সেদিন ছিল তোমার চোখ ভর্তি আবেগ
ঠোঁটে এক চিলতে হাসি
গগন ফাটিয়ে বলতে গিয়েও বলিনি, তোমায় ভালোবাসি।


সেদিনের ব্যার্থতা আজ ঠোকরে রক্তাক্ত করছে এ পাঁজর
সবই ছিল নখদর্পণে, ভুল সিদ্ধান্তটি ও
শুধু তুমিই নও, প্রতিটা প্রহর সাজা খাটছি আমিও।


আজ বেলাশেষে ও আমার কাটছে নিঃস্ব প্রহর
আচ্ছা! তুমিও কি করো, একাকী জোছনাস্নান?
ভুলতে আমায় এখনো কি করো চেষ্টা, আপ্রাণ।


হঠাৎ চেপে ধরা বুকের ব্যাথা নিয়ে কাটিয়েছি প্রতিটি নির্ঘুম রাত,
সেই যে পিছন ফিরে তাকাইনি, সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো সামনে আজ;
বুক চিনচিন করে, যখন চোখ বুজলেই দেখি তোমার লাল বেনারসি সাঁজ।


আজ কেন জানি খুব ঘুম পাচ্ছে আমার, ঘুমুতে ধরে তোমার হাত
জোছনার রূপালী আলোয়, বেল্কনিতে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে
চাইছে এ মন নিথর হতে তোমায় ছুঁয়ে।


চোখ বন্ধ করতেই তুমি হয়েছ হাজির;
কাকচক্ষু জল নিয়ে, অনুমতি ছাড়াই বসেছ মাথার পাশে;
তুমি তো এমন ছিলেনা, আমি চাই সেই তোমাকে, যে মন মাতিয়ে হাসে।


ব্যাথা সেরে গিয়ে কাঁপছে বুক, করছে শিরশির
ঘন হচ্ছে নিঃশ্বাস, ঘাম দিয়ে করছি শেষ গোসল
অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে সব, চোখের কোণে জমেছে বিন্দু জল।


২৪-১০-২০১৪