একঃ


চতুর্দিকে শক্ত পাথরের  মজবুত দেয়াল-
মাঝখানে কিছু খসখসে বস্ত্রহীন জমিন।
এরই মাঝে ঘুরে ঘুরে চলা ফেরা-
একই পথরেখায় পরপর পায়ের ছাপ,
ঘুরছি, ঘুরছে, ঘুরছো পরস্পর অনতিক্রান্ত।
মাথার সামান্য উপরে টাইলসের ছাদ
লাফ-ঝাপ মাথায় দারুন আঘাত;
বিকলাঙ্গ, কখনো বা মৃত্যু অবধারিত।


সহস্র বছরের সাধনায় বেড়েছে কি একটু সীমারেখা?
এক আধ ইঞ্চির বেশী নয়!  


একই পেষ্ট, পুরোনো ব্রাশ, ক্ষয়ে যাওয়া দাঁতে
প্রত্যেকদিন সকালে ঘষা।


একই সাবান-শ্যাম্পু অভিন্ন শরীরে-মাথায়
প্রত্যেকদিন দুপুরে গোসল।


একটি নারী, দুটি মাত্র স্তন, নিবেদিত জঙ্ঘা, উরু
প্রত্যেক রাত্রে মন্থন।


অনেকঃ


একটি মাত্র ছিদ্র শুধু
নানা রঙ্গা আলোর প্রবেশ-
একই বাঁশিতে কত সুর!
একটি কি-বোর্ডে মেলা বোতাম
একটি চিত্রকলা-অনেক রঙের ছোপ
একটি বই সংখ্যাহীন অক্ষর,
চিত্র-বিচিত্র ফুল ফল
সীমাহীন অনুভূতি-
বুদবুদের মত চিন্তা-ভাবনার উদয়;


একজন এক ও অনেক।