চুম্বনে চুম্বনে ছোপ ছোপ লাল বেল রং শরীর, আর নয়-
এবার হালকা-নীল মেঘের মত জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হয়।
মৃদু জলে ভরা সমুদ্র চোখ দুটো রেখো বিছিয়ে,
সেখানেই ঘুমোবো দুজন পরস্পরকে জড়িয়ে।
কাশ ফুলের মত তোমার নরম চুলে
আঙ্গুল চালাতে চালাতে-জিজ্ঞেস করবোঃ
তুমি আমার ঈশ্বর হবে?
ছি ছি ছি----
না না না না---
তুমিই আমার শরীরী ঈশ্বর,
তোমাকে গড়েছি আমার একান্ত ঈশ্বর।
মানুষ কি পারে তৈরী করা ঈশ্বর ছাড়া বাঁচতে?
কাঁচা আলোর নদী ছেড়ে, কে ডুবে মরে
সাতস্তর অন্ধকারের ওপারে!
বিছানা ছেড়ে কেন যাবো এতো দূরে- সেই সপ্তম আসমানে!
তোমার অভ্যন্তরে তো কয়েক মূহুর্তের উষ্ণ প্রাসাদ,
আর তাহার মাঝে জমাট শীতলতা করি অনুভব।
তুমি নিথর থাকবে শুয়েঃ
তোমার প্রতি অঙ্গে শিহরন হয়ে ফুটবে আমার আরাধনা;
তোমার নাভীমূল থেকে আপনি গজিয়ে উঠবে পূজোর রঙ্গিন ফুল।
শীৎকারে-চিৎকারে তোমার নরম ছোট হাত
মাথায় বুলিয়ে ছড়িয়ে দেবে মুঠো মুঠো চূর্ণ আশীর্বাদ।
ভক্তিতে উপচে উঠলে নগ্ন দেহ পেয়ালা,
কিছুটা ঝাঁকুনি ছিলকে ফেলে আবার নিথর হয়ো।
অবয়বহীন কি ভালোবাসা যায়-
কিভাবে বাসা যায় বলো?
ভয়ই বা কি- তবে আর সমীহই বা কেন!
পূর্ণিমার রাতের আঁধারে পাশের জানালাটি যাবে খুলে,
জ্যোৎস্নার সাথে মিশে পরবো ছড়িয়ে,
তোমার শরীরের সমস্ত আনাচে-কানাচে-
আলোর ধর্ম অমান্য করে এগিয়ে যাবো বাহারি গলি পথ ধরে।
চাঁদটাও ক্লান্ত এতক্ষণায়,
আমিই শুধু অবিরাম আমার স্পষ্ট আরাধনায়।