পুঁজিবাদের এ ধরায় সবে মত্ত
স্বীয় স্বার্থ- ধনার্জনের প্রতিযোগিতায়,
ভুরি-ভুরি যার আছে তার আরও চাই;
পাশে কত ক্ষুধিত-লাঞ্চিতরা রত কান্নায়।
একদা, এক দারিদ্র-কুবের সকল দ্বার হতে
খালি হাতে ফিরি দুমুঠো অন্ন আশে,
বহু আবর্জনা-স্তুপ তালাশে উদ্বার করে
কিছু পরিত্যক্ত খাদ্যোচ্ছিষ্ট; হর্ষচিত্তে রাস্তারই পাশে-
বসে নিমগ্ন হল তা ভক্ষণে,
পোলাও-বিরিয়ানিগুলো মুখগহ্বরে মুঠোহাতে
ঠেলে-ঠেলে যখন দিচ্ছে খুব তড়িতে
মুখখানি বিকৃত হচ্ছে দীর্ঘ নখের আঘাতে।
গোগ্রাসে গিলছেতো গিলছেই, লাগছে না জলও;
অর্ধতৃপ্তির ঢেঁকুর উঠেনি এখনো উদর হতে,
বোঁচকা দুর্গন্ধে নাকে রূমাল চাপা দিয়েছেন
সাহেবগণ, যাঁরা পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন হেঁটে।
বিগড়ে গেল মেজাজ-এহেন পরিচ্ছন্ন রাস্তায়
অসভ্য খেতে বসেছে!! অকথ্য গালিতে তাঁর,
ত্রাসে দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে উপুড় হয়ে পড়ে
ব্যথায় কুঁকড়ে উঠল হায়! পূর্ণতৃপ্তি মিটল না বেচারার।
সাহেব পশ্চাতে ভুলেও তাকালেন না আর,
মনে একটুও করুণার উদ্রেক হলোনা!
কার আছে মনুষ্যত্ব, কে মানুষ তাদের দুজনার?
নিঃসহায় আর্তেরা কি এ ধরণীতে ঠাঁই পাবেনা?
তবে ঠাঁই হবে কোথায়, কোন জগতে আর?
এসো তবে তাদের বসবাসের উপযোগী গ্রহ-উপগ্রহ
সন্ধানে ব্যপৃত হই, যেথায় সু-পুনর্বাসন করে
দেখানো হবে চরম নিগৃহীতদের প্রতি মহা অনুগ্রহ।