অভিবাদন জানিয়েছি তোমায় হে রামাদান!
সাবানের সুরুজের অস্তগমন ঘটেছে যে সন্ধ্যায়
পশ্চিমাকাশ শোভিত তব হাসিবদন চাঁদখানায়,
হেরিছি নয়ন ভরে, হৃদয়ে বহিছে আনন্দ-বান।


শ্রেষ্ঠ মাস তুমি মহান রবের রহমতে,
সর্বশ্রেষ্ঠ মহা আসমানি গ্রন্থ 'আল-কোরআন'
নাযিল হয়েছে তোমারই পবিত্র গর্ভে,
মহিমান্বিত রজনি নিশ্চয়ই নিহিত তোমাতে।


তুমি 'আল-ফুরক্বান'র জন্য হলে গৌরবান্বিত,
'লাইলাতুল ক্বদর'র হলে মহিমান্বিত।


তব ক্রোড়েই মহান আল্লাহ্'র কাছে
সবচেয়ে বেশি কাঁদে বান্দা ও বান্দীগণ
স্রষ্টার ইবাদাতে সদা মশগুল হয়ে
তব সকল দিবস, রজনী ও সাঁঝে।


নিকৃষ্ট এ গোলাম মস্তক অবনত করে
আজ রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত
মাগিছি খালি দু'খানা হাত তুলে
ক্ষমাশীল, দয়াময়, পরম করুণাময়ের শাহী দরবারে।


'খালিক' ও 'মালিক' যার হাতে মোর প্রাণ,
সে ইলাহের প্রতি কড়জোড়ে মিনতি- হে প্রভু!
তুমি দেখছ এ প্রাণের সকল আকুতি,
তব দুয়ারে অশ্রু ঝরাতে দুটি আঁখি কর হে দান।


ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ে আজ বিদায়ি সুরে
সিয়াম সাধনার জান্নাতি পরিবেশের সমাপ্তি লগ্নে
হে রামাদান! চাহি তোমায় ফিরে পেতে এ লোকে,
প্রশান্তির নির্মলশ্বাস ফেলতে তব পবিত্র ক্রোড়ে।


যদি এসে থাকি হায়াতের অন্তিম প্রান্তে,
না পাই যদি দেখা আর এ জগতে,
তবে, 'আল-বিদা', 'আল-বিদা' হে 'মাহে রামাদান'!
'আল-বিদা', 'আল-বিদা' হে 'শাহরুল কোরআন'।