‘ওড়ে আমার সোনা রে
আমার মানিক ...’
ক্রমাগত আউরে চলেছেন মা
আর তাকে ঘিরে তার আত্মীয়দের চোখে জল।
দুর থেকে ভেসে আসছে হরিবোল ক্রন্দন


গেট পেরিয়েই মনে হল ফিরে যাই
গিয়ে স্নান করি, ঠাণ্ডাজলে।


বিশাল আউটডোরে সারি সারি জানলায়
সারিবদ্ধ সরীসৃপ কুণ্ডলী পাকিয়ে
ভরিয়ে রেখেছে, যতদূর দেওয়াল।
খেয়াল করে দেখলাম, মানুষ মানুষে
উপছে পড়ছে যেন।


শত শত চোখ ছুঁয়ে যাচ্ছে, আমাকে
প্রত্যেক পদে জানিয়ে দিচ্ছে, কত কথা
আর ব্যাস্ত, চিন্তিত, বিরক্ত বা
ভাবলেশহীন কিছু অভিব্যক্তি,
তার মধ্যে বেশ কিছু
দাগ কাটল, আমার ব্যাস্ততায়।


‘সকাল হতে ঠায় দাড়িয়ে
কখন যে ডাক্তার দেখবে মেয়েটাকে –’
চিন্তাক্লিষ্ট বৃদ্ধ বাবা।
মেয়েটা অদুরে ভিড় বেঞ্চে
চোখে কোন কথা নেই।


তীব্র ব্লিচিং-এর গন্ধ অধিকার করেছে
হাওয়া-বাতাস,
আমার ঈষৎ দুর্বল শরীরটা
স্বাভাবিক প্রশ্বাস নিতে ভয় পাচ্ছে।


ফেরার পথে দেখলাম এরই এক কোনায়
সংসার ছড়িয়েছেন সদ্য মা,
তার সন্তান স্তন্যপানে মগ্ন ও
সে তার নবজাত সন্তানে।
ভিড়, গরম, গন্ধ ছাপিয়ে –
তাদের তৃপ্তি আমায়
সাহস দিল যেন
আর আমি সেই শিশুর
নাম দিলাম, বনফুল।