কেমন মানুষ আমি কেমন মানুষ,
মানুষ নামের যেন একটি ফানুষ।
মুখে বলি করবোনা কাজে কেন করি,
অজানা আগ্রহে ঝাপিয়ে যে পড়ি।।
মন কেন এত চায়,
              বিবেক কে নাড়া দেয়,
ভালো-মন্দ সব কাজ,
              করতে সে সাড়া দেয়।।
মনের আনন্দে সানন্দে সাগ্রহে,
চাই চাই শুধু চাই, কেমন মানব হে!
লোলুপ্ত মানব আমি চাই বার বার,
যদি না পাই তবে দোষ আল্লার।।
যদি পাই তবে হায়,
               মন কেন আরো চায়,
কেমন আদম আমি,
               চাওয়া-পাওয়ার অন্ত নাই।।
চিন্তা সাগরে ডুবে ভাবি কত কিছু,
শয়তানি মনোভাব হাটে পিছু-পিছু।
চিন্তা ভাবনা মাঝে কতই বিষয় আসে,
কিছু বাস্তবে হাসে,বাকি স্বপ্নে ভাসে।।
স্বপ্নের অন্ত নাই,
               অসীম ভাবনা পায়,
মাঝে মাঝে ডুবে যায়,
               দিশেহারা ভাবনায়।।
কখনো ভাবনায় আসে প্রভূত সম্মান,
বিদ্বেষী মনোভাবী ছোট মন দেয়না অপরের মান।
প্রতিপক্ষ যদি হয় মজবুত পাহাড়,
বিদ্বেষী মন বেছে নেয় হিংসার শক্ত হাতিয়ার।
এমনই ভাবনা ভাজে,
                তৃপ্তি নাই মনো মাঝে,
যদিও মানব আমি,
                সেজে আছি লোভী সাজে।।
বলে থাকি মানব আমি ফুলেরই মত,
তবে কেনো ত্যাগী ভাবের অভাব এত।
কতনা যত্নে ওঠে বেড়ে ফুলের কড়ি,
যৌবন বিলায়ে তার সুখের ছড়াছড়ি।।
ভাবে মন হবেক্ষণ,
                ত্যাগী ভাবি মনুষ্যজন,
কখনো পারিনা হতে,
               ফুলেরই মত একজন।।
কেমনে পাব আমি ফুলেরই জীবন ধারা,
হিংসা-বিদ্বেষ,লোভ-ঘৃণায় মন মোর ভরা।
মনুষ্যত্ব লাভে মোর থাকে নাতো হুশ,
তাইতো আমি মানুষ নামের একটি ফানুষ।।


★ ইচ্ছা ছিলো কবিতাটি অনেক বড় করে লিখবো।।কিন্তু এরথেকে বড় আর করতে পারলাম না।। আমার সবচেয়ে বড় কবিতা " মাতৃ-বিয়োগ কাব্য" ৫৪ লাইনের।। খুব তাড়াতাড়ি দেবো কবিতার পাতায়।।


★আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আর কবিতা ভালো লাগলে, কোন সমস্যা বা উপদেশ থাকলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন।।


~আসরের ছোট্ট সদস্য-- মিল্টন খন্দকার ~