এখন তোমার সাধ জেগেছে ভবে
পুত্রবধুর হাতের সেবা নিতে!
সে যেনো আজ তালের পাখা ঘুরায় গ্রীষ্মকালে
উষ্ণতা দেয় আগুন জ্বেলে ঠাণ্ডা মাঘের শীতে।
তোমার কথায় চলে-ফিরে, উঠে-বসে, সদা অবিরত
সময় মতো ভাত তুলে দেয় পাতে
তরকারী দেয় তোমার স্বাদের মতো
পা টিপে দেয় যখন কাবু বাতে।
চাচ্ছো তুমি, বউমা তোমার সেবায় থাকুক মগ্ন
পান থেকে চুন খসলে তুমি চেঁচিয়ে ওঠো জোরে।
বউয়ের বাপের সাত পুরুষের গুষ্টি-উদ্ধার করো
বজ্রবাণীর তিক্ত কথার তোড়ে।
সে-ও নারী এই পৃথিবীর মাঝে
তোমার মতোই সে এসেছে পুত্রবধু হয়ে
তোমার মতোই সেবা দিবে সকল সদস্যকে
বউ এসেছে এই ঘরেতে তেমন ব্রতই নিয়ে।


এবার ভাবো, তিরিশ বছর পূর্বকারের কথা
যখন তুমি বউমা ছিলে ঘরে।
কেমনতরো সেবা-যত্ন আর ব্যবহার ছিলো
তোমার স্বামীর পিতা-মাতা আর সকলের তরে?
হে শাশুড়ি! চিরন্তনী কথা রেখো মনে
ক্ষেতের চাকা ক্ষেতেই ভাঙে জেনো
অতীতকালে তুমি যেমন ছিলে
বউমা তোমার তেমনটিতোই হবে
এসব নিয়ে গোমড়া হয়ে ভাবছো তুমি কেনো?
আ্জকে যে জন পুত্রবধু, কাল সে হবে মাতা
পরশু হবে শাশুড়ি মা, এই তো সঠিক কথা!


একটা গল্প বলি-
শুনো নারী, খুলে তোমার কালো কেশের মৌলি।
পুরান কালের কথা
এক গাঁয়েতে বউ-শাশুড়ি থাকতো মিলে যথা-
শানের ঘাটে নাইতে গেছে নদীর শীতল জলে;
শাশুড়ি কয়, 'বউমা তুমি পিঠটি আমার দাওতো ক্ষাণিক ডলে'।
বউমা তখন পিছন দিকে গিয়ে
সাবান মাখায় কাপড় হাতে নিয়ে।
হঠাৎ, করেই সরলপনার ভাষে
বউমা বলে, শাশুড়িকে মৃদু মৃদু হেসে-
'মা-গো আমার হাত চলে না, পা উঠে বারবার,
কেমন তরো লজ্জাজনক বিচ্ছিরি কারবার'!
শাশুড়ি কয়, 'এই বাড়িতে বউ ছিলাম যেই কালে
আমার অন্ধ শাশুড়িকে পা দিয়েইতো পিঠ দিয়েছি ডলে।
তাই, বুঝি আজ তোমার এমন হয়'।
'যেমন কর্ম তেমনই ফল' ঘটবে যে নিশ্চয়!


==================
'একজন পুরুষই পারে,
আগামীকালের একটি সম্ভাব্য ধর্ষণ
বন্ধ করতে'।
==================