চার তোড়া ফুল দিয়ে গেলে তুমি সুবাস নেইকো তাতে,
আস্তাকুড়েতে পড়ে রয় তারা, এ কী অভিসম্পাতে!
তাতে যে ধরেছে অনেক পচন, তবুও পারিনি সরাতে,
তোমার এ দান আমার হৃদয় কাটছে শাঁখের করাতে।
ভালোবাসা এতো দুর্বিসহের জানিনিতো আমি আগে,
সে পচন ধরা পুষ্পের তোড়া বুকে রাখি অনুরাগে।
দুর্গন্ধের ভীষণ যাতনা সহ্য-সীমানা ছেড়ে,
ফণা তুলে আসে দংশন দিতে আশীবিষসম তেড়ে।
নিরিবিলি কাঁদি গহীন গোপনে নিশিদিন একা একা,
কোন কুক্ষণে তোমাতে আমাতে হয়েছিলো কেনো দেখা।
চারিদিকে ভয়- মৃত্যুর ভয়, সমাজের ভয় বেশি,
কোন্ দূরদেশে চলে গেলে তুমি একা রেখে, পরদেশী?
এখন কষ্ট জীবন বাঁচাতে, মরতেও লাগে কষ্ট,
সামনে-পিছনে ডানে-বায়ে দেখি ঘন আঁধিয়ার পষ্ট।
অশ্রুধারার নদী বয়ে যায় কাঁদতে পারি না আর,
যত ভাবি, দেখি, সবকিছু মেকি, মিছে এই সংসার।
ভালোবাসাহীন মানুষ জীবন যন্ত্রণাময় প্রাণ,
বুকের ভেতরে উথাল-পাথাল সমুদ্র-সাম্পান।
শাঁখের করাতে কেটে যায় নিতি বাড়ছে দুঃখ-জ্বালা,
আহত বিবেক বারবার বলে, 'অহল্যা, তুই পালা'।


==================
'একজন পুরুষই পারে,
আগামীকালের একটি সম্ভাব্য ধর্ষণ
বন্ধ করতে'।
==================