একুশে ফেব্রুয়ারী এলে মনে পড়ে আজও
মায়ের ভাষা, প্রাণের ভাষার মান রক্ষার্থে
বুকের তপ্ত খুন ঢেলে দিয়েছিলো রাজপথে
এ জাতির শ্রেষ্ঠ ক’জন বীর সন্তান
সালাম, রফিক, বরকত, শফিক, জব্বার..
তাদের জানাই ফুলেল শ্র্রদ্ধা ও সালাম।
সেই শৈশবে যখন একুশ আসত
ছুটে যেতাম পুর্বদিকে মেঠোপথ মাড়িয়ে,
ধানক্ষেত, খাল-বিল, এঁদো-ডোবা পথ পেরিয়ে
পলাশ ফুলের মালা গেঁথে শহীদ বেদীতে অর্পণ করার জন্য
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আরোহন করতাম পলাশ বৃক্ষে।


প্রভাত ফেরীতে যাওয়ার অপেক্ষায় সারারাত নিদ্রাহীন
একস্কুল থেকে অন্য স্কুলে, সকল ছাত্র-শিক্ষক,
অতঃপর বিদ্যালয়ে ভাষা শহীদদের কীর্তি গাঁথা আলোচনা মঞ্চে
হলরুম ভর্তি বিশিষ্টজনেরা, চলে কথার ফুলঝুরি।
ক্যামেরা ম্যানের ক্লিক, আলোকচ্ছটা, অতি ব্যস্ততা
আগামীদিনের পত্রিকায় শিরোনাম
চলে যায় পুরোদিবস স্মৃতি রোমন্থনে।
সেই একুশ আজ বিশ্বসভায় আপন মহিমায়,
আমরা তোমাদের ভুলিনি, তোমাদের রক্ত বৃথা যায়নি।
তবে, একটা বেদনা মনের গহীনে অনুভুত হয়,
আট ফাল্গুনের রক্তমাখা দিনটি একুশ কি করে হল?
জীবনপাত হল, শহীদ হল বাংলা ভাষার তরে,
একুশে ফেব্রুয়ারী তথা ইংরেজী ভাষার তরে তো নয়!
এমন করে কেউ ভাবে কি না জানি না.
আর “বাংলা একাডেমী” নামের ‘বাংলিশ’ শব্দটা
কি স্ববিরোধিতায় পড়ে না!


তুমি একুশ-ই হও আর আট ফাল্গুন হও
তুমি আছো চেতনার গভীরে,
সমগ্র বিশ্ব মানবের হৃদয়ে পরম শ্রদ্ধা ভরে।