----বৃষ্টি রানীর সুখ-----
এমনি করেই তোর ঘরে আমি রোজ আসি
কখনো বৃষ্টি, কখনো কুয়াশার সকাল
আমি রোজ হাসি, রোজ খেলি তোর বারান্দায়
ভুলেই যাই কখন বয়ে যায় বিকাল ।।


কখনো রোদ হই, ভেসে রই খোলা জানালায়
হারিয়ে যাই তোর ঘুমঘুম দুই চোখে
কি যে এক গভীর মায়ায় বেঁঁধে রাখিস আমারে
হৃদয় ভরে উঠে ভালবাসায় রং মেখে ।।


তোকে দেখে দেখে আমার তৃষ্ণা বেড়ে যায়
দুহাত বাড়িয়ে দিই, ছুঁয়ে যাই ঠোঁটে
ধিরে ধিরে বুকের ভিতর গড়ে উঠে ক্যাসভাস
জলমাখা বৃষ্টির ছবি এঁকে যাই হৃদয়পটে ।।


নানা ছলে ঘুম ভাঙিয়ে ঘরের বাহিরে টানি
উড়ে যাই তোর কোলাহল শহর ছাড়ি
সাদা মেঘের মত আমরা ভেসে রই বহুদূরে
সৃষ্টি সুখের নীল আসমানে বানাই বাড়ি ।।


দুঃখ-সুখের জমানো কথায় ফুরিয়ে যায় দিন
তবু যেন আমাদের শেষ হয়না খেলা
সাঁঝের বেলায় গোধূলী রং মেখে সারা গায়ে
ব্যথায় পাহাড়ে ভাঙ্গে শেষ বেলাটির মেলা ।।


প্রতিদিন এমনি মায়ায় ছোট্ট জীবনটাকে বাঁঁধি
তোর কাছে তাই অনেক সুখের ঋণ
তুই তো আমার শাপলা ফোটা বিলের জলে মাঝি
এমনি লতায় বেঁধে রাখি সারাটি দিন ।।


১৭ ডিসেম্বর ২০১৬।