গৌধূলীর শেষ লগ্নে
ছিলাম বসে মাঠের কোণে
হঠাত্‍ মনে সাধ হল
হাটব দুজন আনমনে ।
শুরু হল দুই বন্ধুর
সামনে এগিয়ে চলা
পথের ধারে নদী দেখে
চেঁচিয়ে উঠল গলা ।
ফিরে যাব একটুখানি
ছেলেবেলার ঘরে
তখন যেটা করতে পারিনি
করব সেটা পরে ।
নদীর তীরে মাছের পোনা
দেখে হল শখ
খালি হাতে ধরব তাদের
এইতো মনের শখ ।
পানির মধ্যে হাত ডুবিয়ে
জোরসে দিলাম ঠেলা
সেই ঠেলাতে দু'একটি পোনা
উচিয়ে ধরল গলা ।
আবার শুরু পথচলা
পিঠালী(এক ধরনের অকেজো ফল)
হাতে নিয়ে
নদীর তীরে পেয়েছিলাম গর্তের এক কোণে ।
পথের মাঝে হল দেখা
বড় এক ভায়ের সাথে
বাগান থেকে পেয়ারা হাতে
ফিরছিল বাড়ীর পথে ।
তাঁর থেকে চারটি পেয়ারা
নিলাম হাতে তুলে
খেতে খেতে হাঁটছিলাম
ছন্দে ছন্দে দুলে ।
পায়ে হাঁটা মেঠোপথ
কাদায় ভরা ছিল
আম্রকানন ঘুরে ঘুরে
পথের দিশা এল ।
আজ দুজনে মনের  সুখে
গেলাম ছেলেবেলায়
কত মধুর স্মৃতির কথা
পড়ে মনে অবেলায় ।
জীবনটাযে কত স্মৃতির
মধুরতায় গড়া
মেঠোপথে হাঁটছিলাম
হাতে লুংগী ধরা ।
কত স্মৃতির রোমন্থন
করলাম যেতে যেতে
অবশেষে ফিরে এলাম
প্রিয়ার বাড়ীর পথে ।
প্রিয়া আমার দাঁড়িয়ে ছিল
বড় বোনের সাথে
বাড়ীর সামনে পথের ধারে
সন্ধাবেলার প্রাতে
একটুও দেখিনি প্রিয়ায়
করেছি নিজেকে দমন
তাতেই বা কি? ভালই হল
খালি পায়ের ভ্রমণ ।
[16-08-2013]
[10:32PM]