নিকষ কালো তমশায়
ছেঁয়েছে ধরা যবে
সুদ-ঘুষ-লুণ্ঠন
পরিপূর্ণ সবে ।
পঙ্কিলতায় নিত্য সবে
গড়ে শিখরী
পিতার কৃপাণ খন্ড করে
শিশু-ঝিয়ারি ।
রিষ্টি-দৃষ্টি তাড়া করে
লালায়িত লোচনে
অবলার সম্ভ্রমহানি
হয় নিজ সদনে ।
ঊষালগ্নে নির্যাতিত
ভৃত্য, বালির'পরে
আগার মাঝে বন্দি রাখে
দিবা ভাগের ওরে ।
দুষ্ট মনিব মিষ্টি সুরে
সাজে বিজ্ঞ-সূরী
খিয়ানতের কড়ি দিয়ে
করে দুনিয়াদারী ।
এমনি যবে ধরার মাঝে
চলছে অবিরত
বিধির বিধান তামিল
সবার মাঝেই মৃত ।
মূর্তি-পূজো সংক্রমণে
ভারাক্রান্ত জগত
খোদার কৃপায় ঠিক তখনি
আসল সু-প্রভাত ।
মা আমেনার জঠরে
তৈয়ারকৃত ভ্রুণ
ভুবন মাঝে ভূমিষ্ঠ হল
সাথে শত গুণ ।
শেষ্ট আদমীর আবির্ভাবে
জাগল নিখিল-বিশ্ব
নায্য অধিকার পেল ভবে
হত-দরিদ্র, নিঃস্ব ।
জীর্ণ-জরা দূর হল
কোমল হাতের ছোঁয়ায়
ভালবাসায় পূর্ণ ধরা
মোহাম্মদের মায়ায় ।
. . . . . . . . . . . . . . . .
[তমশা-আঁধার, শিখরী-পর্বত, কৃপাণ-তলোয়ার, ঝিয়ারি-কন্যা, রিষ্টি-অশুভ, লোচন-চোখ, সদন-আগার-বাড়ি, ওর-অন্ত, সূরী-পন্ডিত, জঠর-উদর, আদমী-মানব]