একদিন আমিও ছিলাম
বর্ষবরণ মিছিলের অগ্রভাগে,
থাকতাম বসে রমনার বটমূলে,
চোরাপথে কাঁটাবন যেতাম,
খাঁচায় বন্দি পাখিগুলোকে
মুক্ত করার স্বপ্ন দেখতাম।


চারুকলায় উঁকি মেরে চলে
-যেতাম শাহবাগে
ফুলের গন্ধে তোমায় পেতাম।
একগোছা বেলীফুলের মালায়
ভালোবাসা মেখে তোমার
খোঁপায় পড়িয়ে দিতাম।


কারনে অকারনে টিএসসিতে
-দাঁড়িয়ে থাকতাম
রোকেয়া হলের অভিমুখী হতাম,
ভালোবাসতে বাসতে ফতুর হতাম,
মাঝে মাঝে কবি কবি ভাব
নিয়ে রঙবেরঙের জামা গায়ে
মলচত্বরে কৃষ্ণচূড়ার দিকে
অপলক তাকিয়ে থাকতাম।


আজ আমি শুধু ফেব্রুয়ারিতে
বাংলায় কথা বলি, আর
সারা বছর বাংলিশ লিখি,
পহেলা বৈশাখে বাঙালী হচ্ছি
শুধু মাত্র বর্ষাকালে পদ্মা-
মেঘনা-যুমনার লাবন্য দেখি।


আর বুড়িগঙ্গার জল-
সেতো সক্রেটিসের পেয়ালা
নিংড়ানো হেমলক,
তারপরও গন্ধহীন বেলীফুলের
গায়ে পারফিউম মেখে
জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে
উল্লাসে মেতে উঠি, রংবেরঙের
মুখোশ পড়ে বর্ষবরণ করি।