মায়ের ঠোঁটের কোণে একফোঁটা হাসিও জমতে
দেখিনি অদ্যাবধি, কেবলি পঁচিশে মার্চের ভয়াবহতা,
বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অপলক চেয়ে থাকা।


মায়ের চোখে চৈত্রের খরতা অনেক আগেই মা হারিয়েছে
চোখের আদ্রতা, যেন শুকিয়ে গেছে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা।
এই চোখে জল ছিল,কারণে অকারণে গড়িয়ে পড়তো,
বাবাকে জড়িয়ে আমার দিকে আড়চোখে চেয়ে থাকতো।


বিদায়ের প্রাক্কালে, পূর্ণিমার চাঁদের মতো বাঁশঝাড়ের
পাশে দাঁড়িয়ে থাকতো, কী এক উন্মাদনায় ঘনঘন
চিঠি লিখতে বসতো, সাফ সাফ জানিয়ে দিত
তোমার ছেলে উচ্ছন্নে গেলো, আসবে কবে তা বলো।


চিঠি পেলে রানারকে দু’টাকা খুশিতে ধরিয়ে দিত,
আজ নেই কোনো প্রতীক্ষা রানার কিংবা বাবার।
আজো মা প্রতীক্ষা করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে মুঠোফোন
হাতে, উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলেটি ফোন করবে বলে।


ক্রিং ক্রিং, হ্যালো-হ্যালো কে মিশুক? কেমন আছিস?
খাওয়া দাওয়া করেছিস ? শরীরের প্রতি যত্ন নিস,
সময় পেলে ফোন করিস ভালো থাকিস অনন্তকাল।
মানবতার সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়িস চিরকাল।