প্রিয়তা,
তুমি সুন্দর আমার বাগানে
কৃষ্ণচূড়ার লালে ।
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিবো তাইতো
এসো কোন এক বিকেলে ।


প্রিয়তা,
তোমার নামের কবিতার বইটি-
নীল মলাটে, পুরো নীলাভে নীল
কবিতা গুলো নতুন প্রেমে পরিপাটি
আর তোমার আমার ভালোবাসার অন্ত্যমিল ।


প্রিয়তা,
দখিনের দিকে বসবো নি
তুমি উড়িয়ে দিও ওড়না
বাকা চোখে দেখবো নি তোমায়
তুমি গুটিশুটি হইয়ো লজ্জায় ।


প্রিয়তা,
কতো দিন হয়ে গেলো কোন কবিতা লিখি নি
সমাজের জঞ্জালে তোমাকে ভাবার সময় পাই নি
সপ্তপ্রদীপের ভালো লাগার শুভেচ্ছা তোমায় দেই নি
তাই বলে ভেবো না, ভালোবাসি নি
রেখিছিলাম তোমায় গভীরে
অনেক প্রিয় যায়গার মাজারে।
প্রিয়তা,
ওরা মিছে বলে
ওরা অন্যর পিছে লেগে চলে
আমি বলছি
তোমার দিকে তাকিয়ে বলছি
তোমার চেয়ে সুন্দর আর কেউ নেই।


প্রিয়তা,
কোন এক একলা সময়ে
শুধু মাত্র একলা হৃদয়ে
হাটুতে পা রেখে শান্ত নয়নে
মুখেতে মুচকি হাসির চয়নে
দূর দৃষ্টি বহু দূরের শেষ আলোতে
ভাবছো যার কথা মনের আয়নাতে
তুমি ভালোবাসো তাকে
অনেক ভালোবাসো, সেই বোকাকে ।


প্রিয়তা,
আমার কেনা বেলিফুল নিবে?
ধরা সন্ধ্যায় পার্কে দাঁড়ানো ঘামে ভেজাতে
আমার কেনা করবী নিবে?
মঞ্চে নাটক দেখার ঠিক আগের মুহূর্তে
আমার কেনা কৃষ্ণচূড়া নিবে?
আমার গ্রামের নদীর ছোট নৌকাতে
আমার কেনা ডালিয়া নিবে?
মনের মন্দিরে প্রথম ভেজা দেখাতে
আমার কেনা হলুদ টিউলিপ নিবে?
কাব্যের শেষ পাতায় সমাপ্তিতে