বৈকালের দিগন্ত-রেখাকে দেখে বসন্তদূত বসন্তকে নবরূপে স্বাগত জানাচ্ছে ৷
আর তাই দেখে কাননের তুরঙ্গম,কুরঙ্গমেরা খুশিতে আপ্লুত হচ্ছে ৷
হরেক রকম বায়ুভুকেরা মৃত্তিকার শষ্প সনে প্রাণোচ্ছলে খেলছে ৷
আগন্তুক সায়াহ্নকে দেখতে পেয়ে মধ্যম মধ্যম মারুত উড়ছে ৷


পূর্বদিগ্বর্ত্তী কল্লোলিনী যেন কলকলিয়ে স্রোতে বইছে ৷
আর প্রতীচীর অন্তিম রক্তিম আভা সমগ্র বনানীকে আত্ম-সূতা রূপে রূপায়িত করেছে ৷
তাই দেখে জন্মদাত্রী বসুন্ধরা গহীন আপ্ত-ঈপ্সাকে লোচনদ্বয়ে সাজিয়ে এনেছে ৷
শূন্যের শুভ্র বলাহকেরা স্ব-ইচ্ছায় নীল দরিয়ায় আত্ম-ভেলায় ভেসে যাচ্ছে ৷


উদীয়মান কবোষ্ণ মৃগাঙ্ককে পেয়ে দিনমান কলঙ্কিত হতে চাইছে ৷
অটবিতে স্থিত কলহপ্রিয় অণ্ডজেরা আজ দিবাবসানে সান্ধ্য-সঙ্গীত গাইছে ৷
অহরহের প্রদোষকালে দিনমণির নিতান্তই ক্লান্ত লাগছে ৷
আর তাই বুঝি অমন করে নিশাগমের পালঙ্ক পেয়ে মার্তণ্ড গহীন নিদ্রায় পাড়ি দিচ্ছে ৷