কন্যা ভ্রূণহত্যা করে,করছো তোমরা পাপ ৷
সামলে থেকো পাপের থেকে,মিলবে অভিশাপ ৷
অলীক পুত্রের বৃথা আশায়,দিচ্ছো শোকানলে ঝাঁপ ৷
ভেবে দেখতো,সৃষ্টিকর্তা করবে নাকি মাপ ?
কন্যা,পুত্র উভয়েই তো সৃষ্টিকর্তার দান ৷
আর,সেই দানকে উপেক্ষা করে;ভাবছো নিজেরা মহান ৷
সবারই যদি 'পুত্র' লাগে,তবে 'কন্যা' লাগবে কার ?
সৃষ্টিকর্তা যাহাই দিচ্ছে,ভেবে নাও উপহার ৷
ছেলে-মেয়ে উভয়েরই দরকার আছে জগতে ৷
অধিক পুত্রের সংখ্যানুপাতে বিঘ্ন ঘটবে সৃষ্টিতে ৷
'পুত্র' 'পুত্র' করে আজ,জগতের হাল বেহাল ৷
বিয়ের 'পাত্রী'র সন্ধানে একদিন 'পাত্র' নাজেহাল ৷
সম্ভব-অসম্ভবের বিচারটা ছেড়ে,বাস্তব চিনে নাও ৷
বাস্তবের সাথে তাল মিলিয়েই,অস্তিত্ব টিকিয়ে যাও ৷
মাতৃগর্ভেই জন্ম নিয়েছিল,যুগের দশাবতার ৷
আবার,দেবীর নিকটই মাগছো ভিগ্ পুত্রের সংসার ৷
এরূপ ভাবে চলতে থাকলে,একদিন অতুন ঘটবে ৷
কন্যাহীন পুত্র দ্বারাই মাতৃ পৃথ্বী মরবে ৷
তাই বলে আমি নাহি বলছি,সুতের নিষ্প্রয়োজন ৷
যুগাবতারের সঙ্গে দেখো নারীর সুবন্ধন ৷
ভালমন্দ সব কিছুরই,ভবে;আছে বিপরীতে ৷
বিধাতার দানকে নষ্ট না করে,ভরে নাও দুটি হাতে ৷
'সুশিক্ষিত' তো পরের ব্যাপার;আগে 'মানুষ' করো ৷
তার আগে প্রায় দশটি মাসের,বেদনা গর্ভে ধরো ৷
ভূমিষ্ঠা হওয়ার পরেই দেখবে;ফুটবে মুখে হাসি ৷
'কন্যা' হলেও বলবে তখন,পুত্রাধিক ভালোবাসি ৷
কর্মের ফলেই কর্ম মেলে;বিজ্ঞানেও তাহা কয় ৷
তাই,হাসিমুখে বরণ করো কন্যার আশ্রয় ৷
বিশ্ব জননীও হাসছে দেখো,সন্তানের হাসিতে ৷
হাসিখুসিতেই জীবন কাটাও;নাহি অশান্তিতে ৷
পুত্রের ন্যায় প্রায় সমানুপাতিক;কন্যাও একদিন হবে ৷
তার জন্যে অলীক কল্পনা,জড়তা ত্যাগ ভবে ৷
শিক্ষা-আচার-ব্যবহার-সেবা;কন্যারও নেওয়া উচিত ৷
তাতে যেন কোনো দ্বিধা থাকে না কিঞ্চিত্ ৷
পেলে শিক্ষা আর নিলে যত্ন ৷
সূতাও হবে একদিন "কন্যারত্ন ৷"