হরেক রকম পতত্রীরা পত্রে পত্রে নাচছে ৷
কূজন শুনে মনে হল মাতৃ আদর পাচ্ছে ৷
স্রোতস্বিনী বইছে স্রোতে গন্ধবহের গন্ধে ৷
তাইতো তরু বলছে শোনো গীত ধরেছে ছন্দে ৷
মৃগয়া ক্ষেত্রে এসেছে মৃগ;সঙ্গে মৃগরাজ ৷
এমন দৃশ্য দেখে সরোজ হারাচ্ছে আন্দাজ ৷
নীরদেরা নীর লয়ে ছুটছে গগন পথে ৷
মাঝে-মাঝে শম্পা চমকে উঠছে যেতে যেতে ৷
সরোবরের মত্‌স্যগুলি দোদুল্যমান মনে ৷
বলছে দেখো মাতঙ্গেরা ডাকছে গহীন বনে ৷
মিত্রের মিত্র অর্ণব দেখো করছে খেলা পানে ৷
নিত্য খেলা দেখে পুষা ব্যস্ত দিবাবসানে ৷


সায়াহ্নকে দেখে দিগন্ত-রেখার প্রার্থনা ৷
তারাদের জ্বেলে তুমি করো আরাধনা ৷
ইতোমধ্যেই উপস্থিত নিশা টলতে টলতে ৷
চন্দ্রাণীকে খোঁজার দরুন জ্যোত্‌স্না এল জগতে ৷
জ্যোত্‌স্না পেয়ে জাহান সাজলো রূপালী আচ্ছাদনে ৷
আর চন্দ্র তাঁকে চন্দ্রাণী ভাবল ভোলা মনে ৷
এমন সময় পূর্বাচলের জাগল বাসনা ৷
সারাজীবন গাত্র হতে ঝরে যেন ঝর্ণা ৷
রাত্রি করজোড়ে ডাকছে,"ওঠো,ঊষা রানী ৷"
পরভৃতের গীতে এবার জাগল ধরণী ৷
ফুটন্ত প্রসূনের মাঝে দেখলাম বসুন্ধরার হাসি ৷
আর সুরভিত মেদিনী আমায় বলছে ভালোবাসি ৷