ত্রিযামার তমস্র হতে অর্যমার রক্তিম প্রভা ফুটে উঠল ৷
আর মেদিনী তখন বিহঙ্গদের কলরবে পালঙ্ক ত্যাগ করল ৷
স্নিগ্ধ সমীর ও প্রবাহমান প্রবাহিনী প্রাণোচ্ছলে খেলতেছে ৷
তাই বুঝি,সুমিষ্ট রৌদ্রোজ্জ্বলে কাদম্বিনী বত্রিশ আশীতে হাসতেছে ৷


পশ্চিমের শুভ্রোজ্জবল মৃগাঙ্ক তখনও নীল অর্ণবে প্রজ্বলিত ৷
ইন্দুর ইন্দুমতীকে উপেক্ষা করে সূরের স্বর্ণালোকে পৃথ্বী আলোকিত ৷
সরোবরের ইন্দীবরেরা হংস সনে বিবাদে লিপ্ত ৷
এরূপ দর্শনে বসুন্ধরার পাদপেরা স্কন্ধ নাড়াতে অবিরত ৷


কুঞ্জ হতে আগত একদল কৃষ্ণ-অলি আম্রমঞ্জরী দর্শনে গাইতে ব্যস্ত ৷
ইতোমধ্যেই কাননে প্রস্ফুটিত সুগন্ধি প্রসূনে ধরিত্রী সুরভিত ৷
হয়তো,সেজন্যই আজ অন্তরের রামধনু-প্রজাপতি ছুঁতে পেয়েছে মহানন্ত ৷
আর আমি মনে করি,স্পৃহণীয় ঊষায় হেমাঙ্গিনী রূপে পৃ-ভূ-খ কল্পিত ৷