বাবা-মা মনেকরে
পাড়াপ্রতিবেশীদের সাথে বলে
ছেলে আমার বিদেশ গিয়েছে
মাস শেষে হাজার হাজার টাকা পাঠাবে।


ইটে গাঁথা বাড়ি তৈরী এবং
দামী গাড়ী ক্রয় করে
বাকী সময়টুকু একটু আরাম আয়েশে কাটবে।


ছোট ভাই ভাবে
বড়ভাই মাস শেষে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাবে
আমার হাত খরচ মিটে যাবে অনায়াসে
সময় আর একটু ভাল হলে
পালসার কিংবা এফজেট নিয়ে যাব কলেজে।


আদরের ছোট বোনটি দর্পনের সামনে দাড়িয়ে
হাত, নাক, কান, গলা দেখে আর ভাবে
ভাইয়া বিদেশ থেকে ফেরার পথে
তার আদরের ছোট্ট বোনটির জন্য গহনা নিয়ে আসবে।


প্রদীব নিভানো অন্ধকার ঘরে
খাটের উপর শুয়ে স্ত্রী ভাবে
স্বামী এই মাসে বেতনের টাকা পাঠালে
বাজারের দামী শাড়ীটা আনিব আমি ক্রয় করে।


ছেলেটি পড়ার টেবিলে বসে ভাবে
হয়তো কোন এক অপরিচিতা বালিকার ছবি
যাকে নিয়ে ওই কফি কাউজ আর কেন্টিনে বসে
বাবার টাকা উড়াবে
ঐ কুটিপতি ছেলেদের মতো করে।


একবারও কি তারা দেখেছে ভেবে
প্রবাসে ইট-পাথর, লোহালঙ্করের সাথে রাত দিন সংগ্রাম করে
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পাঠানো টাকা এই ভাবে খরচ করি কিভাবে?