তোমার জন্য শুধু আমার মন কাঁদে!
হয়তো খুব বেশি ভালোবাসি সে জন্য?
হৃদয়ের আঙ্গিনায় শুধু তোমায় খুঁজে বেড়াই বলে;
সর্বদা তোমার দূরত্ব আর শুন্যতা অনুভব করি শুধু।


আমার ভালো লাগার কারণ তুমি; ভালোবাসার মানুষও তুমি,
আর সে জন্য তোমাকে কখনোই হারাতেও চাইনা আমি।
তাইতো শুধু তোমার মাঝে নিজেকে খুঁজে বেড়াই;
তোমার অপলক দৃষ্টি আর মায়াময় হাসিতে আত্মহারা হয়ে;
তোমার কন্ঠের সুর মূর্চ্ছনায় অগনিত নক্ষত্রের মাঝে শুধু তোমাকেই খুঁজে বেড়াই।


কিন্তু হঠাৎ করে একি তুমি বললে মোরে “তুমি হয়তো বেশি ভাবছো আমায় নিয়ে”
সরিয়ে নিতে চাইলে তুমি নিজেকে অপ্রত্যাশিত ভাবে আমার ভাবনালোক থেকে।


তবে কি? তুমি কখনোই বুঝলে না যে, কোন প্রাপ্তির আশায় তোমায় ভালোবাসিনি,
ছিলোনা কোন অতিরিক্ত প্রত্যাশা; ছিলো না কোন দাবীর মিছিল তোমার তরে,
তথাপি কি? এক অপরিসীম ভালো লাগা নিয়ে শুধু তোমায় খুঁজে বেড়াই;
নিয়তি বড়ই বিচিত্র! ভালোবাসা বুঝি এ রকম হয়? আমি তা জানিনা,
হয়তোবা আমার ক্ষেত্রে এটাই ভালোবাসা অথবা অলীক কুসুম কল্পনা,
যার যন্ত্রণা হয়েতো মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানবে না।  


তবে প্রিয়তমা, তুমি যদি না চাও কখনোই তোমাকে বিরক্ত করবো না,
তাই আবারও বলছি এ ভাবে দূরে চলে যেওনা; সেটা কখনোই সহ্য করতে পারবো না,
তাতে শুধু কষ্ট আরো বাড়িয়ে দিবে, আমার ভগ্ন হৃদয়ের আত্মহাহাকার হয়তো তুমি শুনতে পাবে না,
স্তব্দ হয়ে থাকা আকাশে কখনো নক্ষত্র উদিত হবে না; সে আধাঁরের মাঝে আমি শুধু তোমায় খুঁজবো।


তবুও বলছি তুমি যদি বিরক্ত হও আর না চাইলে;
তাহলে কখনোই করবো না কথোপকথন আর পাঠাবো না ক্ষুদে বার্তা তোমার মুঠোফনে।
কিন্তু তাই বলো তোমাকে ভুলে থাকতে পারবো না;
হয়তোবা তোমাকে কখনো জিজ্ঞেস করবো না তুমি কেমন আছো?
তোমার অগোচরে তোমার খোঁজ খবর নেব; সামনে আসতে বারণ করলে যেহেতু,
নিভৃতে পিছন থেকেও তোমার শুভাকাঙ্খী হিসেবে থাকবো দাড়িয়ে।


পাহাড়ের মতো নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবো;
শুধু তোমার সুখ-সমৃদ্ধি প্রার্থনা করব মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে,
কখনোই কোনো অধিকার বা দাবি নিয়ে তোমার পথে দাঁড়াবো না।
তুমি বলে ছিলে আমাকে “তুমিও ভালো থাকো তোমার নিজের মতন করে”
এভাবে তুমি অভিমান করে নিজেকে সরিয়ে নিবে; তা কখনো ভাবতে পারিনি,


কোন অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আসিনি তোমার কাছে; শুধুই ভালোবেসে ছিলাম তোমায় নীরবে;
তবুও তুমি কেন অপ্রত্যাশিত ইতি টেনে নিলে নিজেকে!!!!!?।