কাদল নয়ন উঠল চরন
দৌড়ে গেল বাশবনে,
সুখের হরন দুঃখের বরন
আকাশ ভারি মাতনে।
আমার গায়ে আমার মায়ের
আচল টানে শকুনে,
শইতে নারি বইতে পারি
কইল্জাফাটে গোপনে।
বগল চেপে আগলে রেখে
ভালোবেসে কায়মনে,
সমুন্নত করতে তারে
অনুন্নত জীবনে।
আধার টানে তুমুল বানে
টেনে ধরে পেছনে,
কাউয়া কাহে শকুন তাহে
জুটছে এসে স্বদলে।
আমার আলো নিভু নিভু
দৌড়ে আসি নিজ ঘরে,
আমার পিতা মায়ার মাতা
চপেটাঘাত সজোরে।
সমাজ পতি নিরবধি
ইরাক- ইরান- মিশরে,
বাইরে থেকে কুত্তা শিয়াল
নেয় ডেকে নেয় ইতরে।
আলোর যে দীপ জ্বাল্লো আলো
রাঙ্গিেয় দিল বিশ্বকে,
আজকে আলো শয়না ভালো
তাড়ায় যেমন পেচাকে।
অন্ধ আমি বন্ধ করি
তালা মারি বিবেকে,
সন্যািসকে পাগড়ি পরাই
ফতুয়া দেই সবাকে।
ঐযে ক্ষীন দেখছো আলো
জ্বালবেনা দীপ তোমাতে,
ভ্রান্ত উহা মৌলবাদে
ওদের হবে সামলাতে।
কিসের জিহাদ আইন শরীয়াহ
এসব কি আর কোরানে,
মোরা জাতীর ধর্ম পিতা
চল তোমার স্ব জ্ঞােন ।
ভোগ বিলাসে নিত্যসাজে
শান্তি হবে বিশ্বতে,
ওদের হাতের আলোক বাতি
হবেই হবে নিভাতে।
চক্ষু জলে পলে পলে
ঢুকরে ওঠে হা-হুতাশ,
দৌড়ে আমি কোথায় এলেম
আমার ঘরই জুলুমবায।
দৌড়ে ভয়ে বাইরে দেখি
সামনে বিশাল সৈন্যদল,
ছিনিয়ে নিল আলোক বাতি
করল আমায় পদতল।
রক্ত আমার ভক্ত নারে
রক্ত আমার বিষের বান,
দুঃখ বুকে নিয়েই আমি
করে গেলাম আত্নদান।