কয়েদীর মতো চতুরাংশে
পাহারায়রত ইট পাথরের কংক্রিট,
মন হলো দেহবন্দি,
দেহ হলো ঘরবন্দি,
নীরব পাথরের কান্না শুনতে শুনতে,
নিজের কষ্টের কান্না বিলীন ।


অবশেষে বের হলাম,
মুক্তো আকাশে মনের জিঞ্ঝির খুলে ,
বড় সুখময় কামনা—
ব্যস্ত শহরে একটু স্বস্থির নিঃশ্বাস,
আহারে –ব্যস্ত শহরে আবার স্বস্থির নিঃশ্বাস !
আমি হলাম বোকার সরদার,
যেখানে শহর হারিয়েছে স্বস্থিরতা,
সেখানে আমার স্বস্থিরতা, হাঃ হাঃ হাঃ


যমদুতের মতো
সারা শহরে মুবিল পোড়া গন্ধের ধোঁয়া,
কান ফাটাঁনো জঞ্ঝাল গাড়ির হুইসেল,
থেমে নেই,চলছি তো চলছিই,
একটু শান্তি একটু স্বস্থির প্রত্যাশায়,
বিষবাস্প ও ধুলাময় হাওয়ায়,
আমার নিরস্তর পথচলা ।


অতি সুখের লোভে-
মুক্তোমনে উচ্ছল প্রানের মর্মরে
দম যেন আটকে দেয়,
মনে হয় এখনই শেষ শয়ন ।
অস্থিরতা ব্যধি রূপে শংখিনী,
স্বপ্নময় শংখ্যাকুল পুড়িয়েছে,
উপায়হীন সামনে পিছনে মৃত্যুর দাবানল,
আহারে-- ভালইতো ছিল আমার বন্দিঘর ।