দেশে দেশে হানাহানি রক্তপাত কতো,
যেন ধ্বংসের অবয়বে রক্তাক্ত যতো।
রক্তঝরা দৃশ্য পৃথিবীতে আদিকাল থেকে
                 নরক বানানোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত,
তাইতো বিশ্ব নেতারা সাম্যের ব্যাপারে ক্ষিপ্ত!
আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এ যেন যুগসন্ধির ক্রান্তিকাল;
বিন্দু থেকে বাক পরিবর্তন এতো তারই ফল।
মানব দেখানো যতই করো মঙ্গলের সমাবর্তন
ক্ষমতার দাপটে আজ সাম্য-ঐক্যের পতন।
শঙ্কা দেখি শুধু ঐ শান্তিকামি মানুষের মনে!
সবই দাহ হয় ঈর্ষা আর হিংসার আগুনে।
                  ওরা তো পুঁজিবাদের পূঁজারি,
অনাগত বিনাশ আর ধ্বংসই যেন শক্তির দিশারী।
এ ক্রান্তিকালে স্বপ্নভঙ্গ মানবপ্রেমি বিশ্ববাসী,
শতাব্দীর কালের বিজয় গৌরব সেতো পরবাসী।
বিসর্জন নাকি অর্জন মুখোমুখি ভবিষ্যৎ,
নেতিবাচক সংকটে আজ কে দেখাবে পথ!
নিপতিত মানব সভ্যতা অধঃপতিত গৌরব,
          ক্ষমতাশালী হলেই পাল্টায় স্বভাব।
পরিবর্তন সেতো সময়ের সাথে এগিয়ে যাওয়া,
দাসপ্রথা থেকে পুঁজিবাদ সমাজকে করছে ধাওয়া।
              ধর্মযুদ্ধ, গোত্রযুদ্ধ, বিশ্বযুদ্ধ আজ
রক্তাক্ত! ক্ষত-বিক্ষত স্বাধীনতাকামী সমাজ।
ধনী আরো ধনী হচ্ছে, জনকল্যাণে ব্যর্থ প্রয়স
ক্ষমতার লোভে নতজানু নীতি, সমাজকে করছে দাস!
ঐক্য শান্তি বদলে জড়াচ্ছে বিভেদের বৈরিতায়,
জাতি কিংবা ধর্মের দোহায় দিয়ে মানবতা হারায়।
সবাই জানি- একতায় উত্থায় আর বিভেদে পতন,
তবুও জাত-ধর্ম-বর্ণ আত্মকহলে লিপ্ত সর্বক্ষণ।
আজ সময়ের দাবি, মানবতার দাবি, বাঁচাও সভ্যতা;
হিংসার পরিবর্তে প্রেম বিনিময়ে হও সবাই একতা।
       মানুষকে ভালোবেসে মানবতা বিলাও,
আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রেম দিয়ে রুখে দাঁড়াও।
মানুষের কল্যাণে চলো সষ্টি প্রেমের যাত্রায়,
     প্রিয় পৃথিবীতে যেন মানবতার জয় হয়।
               (১৪ জুলাই ২০১৮)