প্রভু নাইবা দিলে দেখা
সবার মাঝে নুতন সাজে
সবার মনে প্রানে
আমি পেয়েছি তোমায়
পৃথিবীর সুরে
শুনিয়াছি সব গানে ।


তুমি অনিমেশ অধর
গগনের শির
আঁধার অম্বরে মৃদু আলো
মনমাঝে শারির
শুক পাখি তুমি
আমায় বাসিলে ভালো ।


তুমি মরু দেশে রহ
দুর্বার বেগে বহ
লয়ে উত্তাপ বালু কনা
সেই শুভ ক্ষনে
স্পর্শে এ প্রাণে
লয়ে নিশ্চুপ আনমনা ।


তুমি মহা সিন্ধু
তৃণ শিরে বিন্দু
তব তৃষ্ণা চাতকের,
মধু বেশে ফুলে
নারী জাত কূলে
অমৃত নবজাতকের ।


কামদেব সাজে
মধুচন্দ্রিমা মাঝে
আপন লীলা খেলায়
তুমি প্রিয় তরে
ফুল দর্বারে
ফুটিলে শ্রেষ্ঠ মালায় ।


তুমি মণিহার
মুক্তোর মালা
চন্দন ফুলো বাসে
এই যৌবন ধারা
মেলি বিরহ পাখা
ছড়ায় অনীল আকাশে ।


তুমি নিঝুম রাতে
বায়ু মরমর
বিরাজিত ফুল কাননে
নয়ন সাথে
প্রাণেরো কথায়
ঝর ঝর ঝর শ্রাবণে ।


তুমি বিরহের সাথে
হৃদয় মাঝে
গুন গুন গাওয় গান
লাবণ্যে পূর্ন
উর্বশী কন্যা
বিলম্বে অভিমান ।


তুমি বসন্তের দিনে
নুতনের সাথে
প্রাচীনের ফিরে দেখা
উত্তপ্ত যৌবনে
পুরনো বেলায়
গোধুলির ক্ষণ রেখা ।


তুমি ঘিরে আসা মেঘ
বয়ে ঝড় বায়ু
ভাঙিয়া গড়িয়া ক্ষান্ত
দূর্যোগ পরে
নতুন রবী
আনন্দ প্রশান্ত ।


তুমি নর নারী
জীব কূল মাঝে
আপনারে সদা রাখিয়া
আপন হাঁসি
দুক্ষ্য বিরহে
রহ সকল মনেতে ঢাকিয়া ।


তুমি আমার মাঝে
লভিয়াছ প্রভু
অঙ্গে স্পন্দে বাহারে
মনের খেয়ালে
ব্যস্ত জীবন
বঞ্চিত তব কাহারে ।


তুমি চহিয়াছ যত
মোর প্রাণ স্বামি
সব দিনু মন খুলি
কত কালে অকালে
বারে বারে তুমি
নিলে অপন কোলেতে তুলি ।


তব এ জীবনে মম
ওগো অন্তর্যামী
বঞ্চিত যত সুখ
তোমার লাগিয়া
দিলাম সঁপিয়া
আমার সকল দুখ ।