ওরে মন....মনা রে...!!
বোকা মনা তুই, বড়োই কুঁড়ে মূর্খ তুই!
বোধে নাই তোর ভালো মন্দ,
সন্ধানে নাই তোর মূল জীবনের ছন্দ।
মুখরোচক খাদ্যে শিশুমনে দেখালি ক্ষুধামান্দ্য,
ন্যায়-অন্যায় বিচরণে ভরা যৌবনেও তোর দ্বিধাদ্বন্দ্ব।


প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা
আঁটকে রাখার কারও নেই
শক্তি সামর্থ্য ক্ষমতা,


ভাঁটিকালে যখন দাঁত নড়েচড়ে
বৈরাগ্য তখন নাকি তোর পরিপক্ব হয়...বাড়ে!!


সহজেই অন্তর্দৃষ্টিতে ভাসে তখন বিনা হর-কতে
কোন স্রোতে ছিল ছলছলানি ছন্দ,
কীসে উছলা ঢেউ আটকা দ্বিধাদ্বন্দ্ব,
উজানভাঁটি না মাঝপথের কোথায় বেঁধে ছিল কোন মায়াজালে ভালো মন্দ,
পুরো জীবনেই বহাল রইলো তোর ক্ষুধামান্দ্য।


ভাঁটিকালে এসে হলো তোর হুঁশ,
বাকি আছে অসঙ্গ খাতিরে খেতে ঢুস।
ক্ষতির বিপরীত তখন খোঁজে গেলি রোজ।
ভেবে দেখ মনা উপায় কি তখন?
নিতান্তই উপহাসের যোগ্য নস্ কি তুই?
অসময়ে স্বার্থসাধনে ডুবলি,
সত্যিই ওরে বোকা মনা তুই।।
_______________
স্বত্বসংরক্ষিত ও মাসিক আলোর দিগন্ত সাহিত্য পত্রিকায় ২য় বর্ষের ৪র্থ সংখ্যায় প্রকাশিত।