ভোগ্য রীতি আর বিলাসী প্রীতি
আবদ্ধ আজ একই সংসারে,
বেসুরা কন্ঠে গাইছে বন্ধনের গীতি
নিলামে ওঠেছে বটতলার ঐ বাজারে।


অনাচার দাবীর তরে বাধ্য কাঠুরিয়া
পেটের তাগিদে কাটছে কাঠ,
অকাতরে দিবানিশি হয়ে মরিয়া
বসতি তাই মহাশ্মশানে, বটবৃক্ষের মহাসংকট।


কালের অতল গহ্বরে কালে কালে কত
মহীয়ান মহীয়সী ঝাপিয়ে পড়েছে কল্যাণে,
আত্মোৎস্বর্গে বিলাতে পেয়েছে ক্ষত
বেঁচে ফিরেছে কেহ, কেহ আজ শোকের গানে।


তপ্ত জ্বালায় জ্বলেছে ঢেলেছে অঢেল রক্ত
সে চিৎকার শুনে কেঁপেছে বিশ্ব,
ইতিহাস সাক্ষী মায়ের কোলেই লুটোপুটি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে চিরসুখের, দেখা হলো না স্বাধীন দৃশ্য।


বেঁচে ফিরে আহ্ নির্বাক বটবৃক্ষ...
গাজীর মুকুট আজ হয়ে ওঠেছে ভারী,
সম্মুখে যেন অকূল দরিয়া!
ক্লেশে মুখ লুকিয়ে শামুকের ন্যায় চলাচল...
গুনতির পালা ওপারের সাড়ায় দিবে পাড়ি।


"হে নব প্রাণ"...
দেশমাতার ভাণ্ডারের মূলধন স্বরূপ মাটি,
আর তার আদলে বেড়ে ওঠা বটবৃক্ষ তোমার অমূল্য সম্পদ, খাঁটি!
যে বৃক্ষ ছায়াতলে ঠিকানা বলে বসাও হাট,
প্রকৃতির সৌন্দর্যবর্ধণ করে দিয়েছে বেঁধে ঘাট।


বিলীয়মান তারা, বয়সের ভারে ন্যুব্জ!
কালের ঝড় করবেই তছনছ আর বিলীন,
পরম সৌভাগ্যে তুমি দেখেছো সেই
বটতলার হাট-ঘাট রাখতে বলো প্রজন্মকে তা যতনে করিয়া অমলিন।।
______________
প্রথম'প্রকাশঃ ১৩মার্চ ১৭ইং।