আসো নি তুমি নিদারুণ নিদাঘে।
তপ্তকণ্ঠে কাকুতি সুরের ডাকে কর্ণপাত করোনি কঠিনিকা তুমি, সেদিন এই তৃষ্ণার্ত মাটির বুক ফেটেছিল তোমার অবজ্ঞা ঘাতে।


আসো নি তুমি অশ্রুঝরা বরষাতে।
তোমার অবর্তমানে অন্তরাকাশে ঘন-কালো মেঘেরা দুমড়ে- নিঙড়ে পড়েছিল পাহাড়ের গায়ে, মার্জনা না করেই অনমনীয়া তুমি ভাগ্য করে দিলে ঐ- জন্মান্তর ক্ষুধার্ত সাগরের পেট ভরাতে।


কালে কালে তুমি আসবে বলে- কত বেলা যায় চলে...জানো তো তুমি অপরিমিতা ?
ভেবেছিলাম শরৎ'এর স্নিগ্ধ রাতে সাদা শাড়ী গায়ে বেঁধে ডাকবেই আমায় তুমি দু'হাত বাড়িয়ে যমুনা সাঁতরাতে।


পরবী তোমার নবান্নের আশে- কাস্তে হাতে হেমন্তের ধানগাছ ভেবে আঙুলকেই ধরে নিয়েছিলাম জমাটবদ্ধ রক্তটাই ছিলো খেজুরগুড়, কনকনে শীতেও আসো নি অযত্না তুমি কাঁথামুড়ি দিয়ে।
ফাগুনের গা পোড়ে ছাই হতেই দমকা হাওয়ায় আতশী হয়ে তুমি হাজির- বড্ড অবেলায়,
ঋতু যে যায় যায়...।