জনৈক ভাঙাচোরা মন ঝালাই মিস্ত্রীর-
খোঁজে নিবৃতে হেটে চলতো মুসাফিরি তাগাদায়, খোঁজতে খোঁজতে একরকম দিশেহারা।
সহসা! তার দরজাকবাটে কড়া নাড়ছে-
নয়নত্রিশূল ঠুকরে, অপ্রস্তুতিচিত্তে দরজা খুলতেই অপরপ্রান্তে উন্মুক্ত চতুরা জানালাও!
কী অদ্ভুতদর্শনে মাটির ঘরখানাতে প্রবলবেগে সুখপূর্ণ সমীরণের ঝড়ো হাওয়ায় স্বর্গীয় শান্তিলতা যেন আঁকড়ে সর্বাঙ্গব্যাপী আলতো স্পর্শে মশগুল।
শকের ঝুঁকি থাকা সত্বেও-
ঝালাই কার্য শুভারম্ভে দৃষ্টিপাত দমেনি,মরিচাপড়া মন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই আত্মোৎস্বর্গে ত্রিশূলিনীর নয়নত্রিশূলে এফোঁড় ওফোঁড় পাঁজর।
সে সুখে মুহূর্তেই যেন পার যুগান্তর, ঘোর ইতিতেও আনন্দজলেরা বাঁধনহারা উন্মাদচিত্তে।
ক্ষণেক প্রাপ্তিতেই এ যেন শত জনমের ক্লেশ বিতাড়নের ত্রিশরণ।