আমি মানুষ হলেও আমার পরিচয়
একটা পোশাকী নামে,
যেটা আমার আসল নাম।
আমার একটা ছোট্ট ডাক নামও থাকতে পারে,
আমার পরিবার, আমার বন্ধু-বান্ধব,
আত্মীয়-পরিজনের ছোট্ট পরিসরে
আমার পরিচিতির জন্য ওটাই যথেষ্ট।


একটি মানব সন্তানের পরিচিতির জন্য
নাম বরাদ্দের ধর্মীয় বা পারিবারিক
কিছু নিয়ম-আচার মেনে, সন্তানের জন্মের দিন
বা তারো পাঁচ বা সাত দিন পরে
আনন্দ-উৎসবের মাঝে সন্তানের মা, বাবা,
দাদা, দাদী, নানা, নানী, খালা, খালু, এমনকি
ভাই, বোন বা পরিবারের প্রতিপত্তিশালী
যে কোন একজনের পছন্দের একটি নামে,
ফুল, ফল, পাখী বা কোন প্রাকৃতিক বস্তুর
নামের সাথে মিলিয়ে বা দুই-তিন অক্ষরের
যে কোন অর্থবোধক বা অর্থহীন একটি নামে
ডাকাডাকি, পরিচয়ের পালা শুরু হয়।


কখনো গ্রামের ভেতর একই নামের একাধিক
ব্যক্তির নামের সাথে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে পিতা
বা মাতৃতান্ত্রিক সমাজে মাতার নাম যুক্ত করে
প্রত্যেককে আলাদা করে চেনার ব্যবস্থা হয়।


পরিচিতির গন্ডী আরো একটু বড় হলে
যেমন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, চাকুরীস্থলে
শুধু আসল কিংবা ডাক নামে কাজ হয়না,
পিতার নাম, মাতার নামের সাথে, গ্রাম, ডাকঘর,
উপজেলা, এমনকি জেলার নামও যুক্ত করতে হয়।
দেশের বাইরে গেলে সেখানে দেশ বা জাতির নামটিও
হয়ে উঠে পরিচিতির একান্ত অনুসঙ্গ -।


প্রতিটি জীব-জন্তুর নিজস্ব ছোট্ট নামে
তার স্বভাবের সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া গেলেও
মানুষ নামের প্রতিটি স্বত্বার স্বভাব,
আচার-আচরণে বিস্তর প্রভেদ লক্ষনীয়।
সে কারনেই একজন ছোট্ট গন্ডীতে
ছোট্ট নামে পরিচিত মানুষের
নিজের নামের সাথে অন্যান্য আরো কতগুলো
নাম যুক্ত করে আন্তর্জাতিক হয়ে উঠতে হয় -
যদিও মনুষত্ব অর্জনের মাধ্যমে
প্রতিটি মানুষের সমাজ বা বিশ্বে
শ্রেষ্ট মানুষ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া একান্ত কাম্য।