একদিন মাথা ঘুরে ওঠেছিল
একদিন বমি করেছিলাম
একদিন প্রেসার বেড়ে গিয়েছিল
একদিন জ্যামে পড়েছিলাম।
একদিন জ্বর হয়েছিল
একদিন সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়েছিলাম
একদিন স্ত্রীর বাহুতে আবদ্ধ ছিলাম
একদিন পুরনো বান্ধবীর সাথে দেখা হয়ে
আড্ডায় মেতেছিলাম।
একদিন শ্যালিকার আবদার রাখতে
সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম
একদিন শ্যালকের বিয়ে বরযাত্রী হয়েছিলাম
একদিন স্ত্রীর রক্তচক্ষু দেখে ভয় পেয়েছিলাম।


বলুন মাননীয়, স্ত্রীকে কোন পুরুষ ভয় পাবে না
যদি সে বলে “তুমি তো কবিতা রাণীর হাত ধরে
প্রতিদিন ঘুরে বেড়াও পার্কে ময়দানে,
আজ আমাকে নিয়ে না গেলে তোমার গর্দান কেটে নেবো
তারপর পবন নন্দনের হাত ধরে সংসারত্যাগী হবো।”
বলুন মাননীয়, প্রাণ ভয়ে কে ভীত নয়;
আমার এ অযাচিত অনুপস্থিতির জন্য আমি কতটা দায়ী?


সামান্য মজুরির বিনিময়ে আমার উদয়াস্ত শ্রম
কিনে নিয়েছেন জনগণের সেবা দেয়ার অঙ্গীকারে।
আমার স্ত্রী, শ্যালক, শ্যালিকা, সন্তান
ওরা কি তাহলে এদেশের জনগণ নয়?
সন্তানের শিক্ষা, স্ত্রীর ভরণপোষণ
সমাজ ও সংসারের দাবী পূরণে আমাকেই খাটতে হয় রাতদিন।
বলুন মাননীয়, নিকটাত্মীয় জনগণের সেবা দেয়া কি
আমার চাকুরীর শর্তের বাহিরে?
যদি তাই হয়-
আমার অপরাধ স্বীকার করে নিলাম দুঃসহ স্পর্ধায়।
যে শাস্তি আমাকে দিবেন মাথা পেতে নেবো।
তবে একটাই প্রার্থনা, আমার স্ত্রী-সন্তান যেন
দু’বেলা পেট ভরে খেতে পায়।
২০-০১-২০১৮


[“দক্ষতা উন্নয়ন” শীর্ষক প্রশিক্ষণে গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত হাজিরা) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ সম্পর্কে সিনিয়র সহকারী সচিব জনাব সুয়ে মেন জো স্যারের প্রাণবন্ত বক্তব্য যেসকল অজুহাতে কিছু সরকারী কর্মচারী অফিসে অনিয়মিত উপস্থিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে অধ্যাদেশটি জারী করা হয় তার বর্ধিত কাব্যরূপ]