একদিন খুব ভোরে ঘর হতে বের হয়ে
গেলাম একটি মলিন ঝোলা কাঁধে
পথে পথে হাঁটি আর জীবনের ছেঁড়া
কষ্ট এবং টুকরো টুকরো স্বপ্নগুলো
তুলে রাখি সযত্নে ঝোলার ভেতর।

সকাল গড়িয়ে মাথার ওপর মাতাল দুপুর
করে চলে অত্যুষ্ণ আগুন বর্ষণ
রাক্ষুসে ক্ষুধার দাপাদাপি চলে পেটে
রমনা পার্কের বেঞ্চে বসে নিরুপায়
গিলে চলি বিকল গাড়ির কালো ধোঁয়া।

ক্লান্তির ঘুম টেনে ধরে দুচোখের পাতা
স্বপ্ন ও কষ্টের ঝোলার ওপর দুঃশ্চিন্তার
বোঝা ভরা মাথা ফেলে দিয়ে ডুব দিই
ভাবনার অতল সাগরে সুখের সন্ধানে।

সন্তানের আবদার জন্মদিনের বাহারি কেক
সাঁতরায় চোখের পানিতে, স্ত্রীর লাল চোখ
ভেসে ওঠে মনের পর্দায়, লজ্জায় ঘৃণায়
মিশে যেতে থাকি অন্ধকারের আড়ালে।

হন্তদন্ত পালাতে চেয়েও পারি না পালাতে
পেছন থেকে টেনে ধরে সংসার, সময়,
সন্তানের স্নেহের বাঁধন, স্ত্রীর মায়াময় চুম্বন।

অন্ধকারে মুখ ঢেকে ছেঁড়া কষ্ট আর
টুকরো টুকরো স্বপ্নগুলো নিয়ে ফিরে
আসি ঘরে অতি চুপিসারে
ফিরে দেখি সন্তানের চোখে ঘুম, স্ত্রীর চোখে
রাজ্যের বিরক্তি আর আমার ঘোলা চোখে
ঝুলে থাকে কষ্টে ভরা কবির মলিন ঝোলা
আমার ঘোলা চোখে ঝুলে থাকে কষ্টে ভরা
কবির মলিন ঝোলা...
২২-৪-২০১৯