ফাগুন এসেছে বনে, আগুন লেগেছে মনে
অঙ্গজুড়ে অনুরাগী শিহরণ!
আরক্তিম আবেগের ফেনায়িত ঢেউ
ভাঙছে হৃদয় তীর
অজস্র ধারায় ঝরছে নবীন নদীর
সুমিষ্ট সুগন্ধি জল;
সম্ভোগের পরিপূর্ণ পেয়ালায়
কামুক চুমুকে প্রবাহে বিপ্লুত
মধুরিমা ঝরনা প্রপাত।
আবেশিত শরীরের প্রান্ত ছুঁয়ে
নেমে আসে সুখের প্রবল প্লাবন।
গন্ধমের গন্ধে হাবুডুবু
হরষিত মন তোলে নাচের মুদ্রায়
মধুর ঝংকার
বিভাবের ব্যঞ্জনায় এস্রাজের সুরে
দ্যুতিময় জ্যোতির ঝলক ঝলসায়
নীলপদ্ম চোখ অগ্নি উসবে অস্থির
হিতাহিত জ্ঞান শূন্য পতঙ্গের মতো।
যে সময়ে জ্বলন্ত আগুনে
ঝাপ দিতেও কুণ্ঠিত হয় না কেউ
সে সময়ে কি সুস্থির থাকা যায়;
বসন ওড়ানো মাতাল বসন্ত হাওয়ায়
রজবতী নারীর দুর্বার আহবান
উপেক্ষা কি মানায় ঊনিশ কিংবা
ঊনপঞ্চাশের সোমত্ত শরীরে?
অস্থির ফাল্গুনে এমন সুবোধ
সুস্থির কেমন করে থাকি, বলো!
কার না ইচ্ছে করবে এমন
মাখন হ্রদের নিবিড় অতলে মাতাল
বুনোহাঁস হয়ে নীরবে নিভৃতে
করে আসতে প্রমোদ বিহার?
১১-৩-২০১৯