বিনষ্ট বিশ্বাসে অবিনয়ী হাতে
কেড়ে নিয়েছিলো ওরা
শিশু রাসেলের প্রাণ জাতির পিতার সাথে।

ভেবেছিলো যদি বেঁচে যায় এই নিষ্পাপ শিশু
হয়তোবা হতে পারে কালের জীবন্ত যীশু।
মৃত্তিকার গভীর অন্দরে ঠেলে দিতে
চেয়েছিলো স্বাধীনতার গৌরবময়
ইতিহাস
বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর
বজ্রকণ্ঠ বহনকারী অরোধ্য বাতাস।

পেরেছে কি, কেড়ে নিয়ে বিশুদ্ধ কয়টি প্রাণ
নিঃশেষ করে দিতে বঙ্গবন্ধুর সাজানো উদ্যান?
পারেনি। বরং যারা করেছিলো এমন জঘন্য  কাজ
তারাই কালের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত আজ।
মাটির জঠরে ঢুকে গেছে বেজন্মা জঞ্জাল
পাপিষ্ঠকে ক্ষমা করেনি মর্তের মহাকাল।

ধরণীর বক্ষে বয়ে গেছে আবার মুক্তির নিঃশ্বাস
রোদের আলোয় হেসেছে আবার সুনীল আকাশ।
বেদনার ঘনো মেঘ সজোরে দুহাতে ঠেলে
রাসেলের প্রাণ মিশে গেছে মুক্তির মিছিলে
বিজয় কেতন হাতে, আমরা যে তার
অমর যাত্রার সাথী অন্ধকার রাতে
কিংবা নতুন আলোর প্রাতে।

এসো মুক্তির মিছিলে শোধি রাসেলের রক্তঝণ
"জয় বাংলা" স্লোগানে বাংলার আকাশ
প্রকম্পিত হোক প্রতিদিন।
২৭-৩-২০১৯