বর্ষা শেষে শরৎ আসে প্রকৃতির এক খেলা
মাঠ জুড়িয়া বসে যেথায় কাশ ফুলেদের মেলা।

কাশ ফুলেরা দোলে ওঠে শীতল হাওয়ার তালে
তাইনা দেখে বকের ছানা হাওয়ায় ডানা মেলে।

রোদ চিকচিক বালুচরে গাঙ শালিকের মেলা
নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘের ভেলা।

ঝিলের জলে নীল কুমুদি ঢেউয়ের তালে দোলে
পাঁপড়ি মেলে করে খেলা শরৎ এলো বলে।

আঁধার রাতে আলো করে ডাবের মতো চাঁদ
জোছনা রাতে পেতে রাখে মায়াবী এক ফাঁদ।

ভোরের বাতাস শীতল আমেজ শিশির ভেজা ঘাসে
আলো ঝলমল জলের ফোটায় মুক্তোদানা হাসে।

স্নিগ্ধ সাজে ধরা মাঝে শরৎ ঋতু এলে
শিউলিরা সব লুটিয়ে পড়ে শিউলি গাছের তলে।

শরতের রূপে মুগ্ধ শেফালী চুমো খায় পদতলে
কোমল ছোঁয়ায় পা ধুইয়ে দেয় শীতল শিশির জলে।

শরৎ আসে প্রতি বছর চলে যায় চুপিসারে
শেফালীকে যায় নিয়ে সে গোপন অভিসারে।

শরৎ এলে নদীগুলো উদোম গায়ে চলে
কুল ছাপানো বর্ষার জলের সাদা বসন খোলে।

শরৎ এলে কৃষাণীর চোখে স্বপ্ন করে খেলা
জেগে ওঠা বালুচরে বসবে পৌষের মেলা।

শরৎ এলে শারদীয়ার বাদ্য ওঠে বেজে
দুর্গা দেবী ধরায় আসে মাতৃরূপে সেজে।

ঢাক বাজে শঙ্খ বাজে বাজে কাঁশের থালা
রঙিন সাজে সাজে এদেশ সাজে পল্লীবালা।

শরৎ তুমি আনলে বয়ে শারদ সওগাত
সার্থক হলো প্রহর গোণা হৃদয় দিবস রাত।

শরৎ তোমায় নিয়ে যখন এতই আয়োজন
আসলে আবার যাবার তরে কিসের প্রয়োজন?

১০-৯-২০১৫