তুমি চাও না কখনও আমি হাত পা ছুড়ে
নদীতে সাঁতার কাটি মনের খেয়ালে যত খুশি,
তুমি চাও ছোট্ট কুপের বদ্ধ পানিতে
চতুষ্পদ ব্যাঙ হয়ে আমি ভাসি।
তুমি চাও না বাগানের সব ফুল সৌরভে
আমার প্রাণে দিক আনন্দ দোলা,
তুমি চাও আস্তাকুঁড়ের গন্ধে নাক চেপে
অন্ধকার কোঠরে বসে থাকি আত্মভোলা।
তুমি চাও না পৃথিবীর সব সুন্দর
আমার হৃদয়ের ক্যানভাসে ছবি হয়ে আঁকা থাক,
তুমি চাও একমুঠো রোদ্দুর হয়ে তোমাকেই আলো দেই
আর সব কিছু আঁধারে ডুবে যাক।
তুমি চাও না আমার কবিতার শব্দ
মিশে যাক ঢেউয়ের সাথে জলধির,
তুমি চাও পৃথিবীর সব সুর একাই শুনবে
আর সব মানুষ হয়ে যাক অন্ধ বধির।
তোমার এ চাওয়া ভালোবাসার অভিধানে
তেমন দোষের কিছু নয়,
যে চাওয়া শুধুই নিজেকে ঘিরে
অনুদার সংকীর্ণতা তাকে কয়।
এ চাওয়া কেমন চাওয়া ভালোবাসার তরে;
যে চাওয়া সৃষ্টির আনন্দকে আটকে রাখে
আলো বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে?
এ চাওয়ায় যায় না কিছু পাওয়া
জীবনকে দেয় শুধু শূন্যতায় ভরে।
২৬-১১-২০১৬