এই যে তুমি বলো, ভালোবাসি
শুধু তোমাকে ঘিরেই আমার
ভালোবাসার চৌহদ্দি;
এই ভালোবাসার নিশ্চয়তা কতটুকু?
ঠিক কতটা ভালোবাসো তুমি আমায়?
তুমিতো নিজেকেও ভালোবাসো
পারবে কি নিজের থেকে বেশি
আমাকে ভালোবাসতে?
আজকাল ভালোবাসাতো স্বার্থের টানে
পারদ স্কেলের মতো ওঠানামা করে;
অর্থ বিত্ত বৈভবের কাছে ভালোবাসা
হাত বদল হয় যখন তখন।
পারবে কি নিশ্চিত সুখের
জীবন ছেড়ে ভালোবাসা নামের
কষ্টের সাগরে চোখ বুঝে ঝাপ দিতে?
লোক লজ্জার মাথা খেয়ে
সমাজ শাসনের দেয়াল ভেঙ্গে
তুমি কি আমার হতে পারবে?
পারবে কি সবকিছু ছেড়ে
আমার সাথে ঘাটছড়া বাঁধতে?
পারবে কি তুমি একান্ত আমার হতে?
শুধুই আমার?
তুমি কি পারবে দিতে আমাকে
আজীবন ভালোবাসার গ্যারান্টি কার্ড?
যদি দিতে পারো তবে-
খরস্রোতা কংশের বিশাল জলরাশি
অনায়াসে পাড়ি দেবো বুকে ঠেলে।
খসে যাওয়া জ্বলন্ত নক্ষত্রের পিঠে চড়ে
পাড়ি দেবো অসীম নীলাকাশ।
চাঁদের খেয়ায় চড়ে ভেসে যাবো বাতাসে
মহাশূন্যে তোমার জন্য বানাবো
রঙধনুর বাড়ি
যে বাড়ির ছাদ হবে
দূষণমুক্ত একখণ্ড আকাশ।
যদি নিশ্চয়তা দিতে পারো
চীনের মহাপ্রাচীর ডিঙাবো
পদতলে পিষ্ট করে সভ্যতার কংক্রিট।
নির্ভয়ে পাড়ি দেবো বোমায় উড়ে যাওয়া
ইরাক সিরিয়ার মতো শঙ্কিত শহর।
তুমি শুধুই আমার হবে
এ কথা ভেবে অতন্দ্র প্রহরীর
চোখ গলে বুকে ভর দিয়ে
মাটি কামড়ে ভেদ করে আসবো
সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়া।
অনায়াসে হেঁটে আসবো নাঙ্গা পায়ে
উত্তপ্ত মরু সাহারা।
তেড়ে আসা ষাড়ের মতো ভয়
মুছে ফেলে দেবো ঝেড়ে;
বুকে পিঠে রক্তের অক্ষরে
লিখে দেবো মালিকানার সাইনবোর্ড;
যেমন লেখা থাকে জমিতে চৌহদ্দিসহ
এই জমির মালিক ক্রয় সূত্রে অমুক।
তেমনি লিখে দেবো
ভালোবাসার সূত্রে তোমার ভালোবাসার
একমাত্র মালিক আমি;
বুকের জমিনে সাদা রঙে
এঁকে দেবো আমার ভালোবাসার চৌহদ্দি।
৩০-১১-২০১৬