তোমার উদর ভরা মদের নহর
তেল চকচকে মেদ ভুড়ি
স্থুল দেহ ফিয়াট গাড়ি সবই হয়েছে
জনগণের সম্পদ চুরি করা টাকায়।
দামী খাট, সোফা, ডাইনিং টেবিল
রঙিন ঝারবাতি সবই হয়েছে
ঘুষের হারাম টাকায়।
শ্রমজীবী মানুষের ঘামে ভিজে আছে
তোমার সুরম্য প্রাসাদের প্রতিটি
ইট, বালুকণা, মার্বেল পাথর।


সম্পদের পাহাড় গড়েও তোমার
ক্ষুধাতুর পেট ভরে না। শুধু খাই খাই।
মনে প্রশান্তি নাই। শান্তি খুঁজো বেশ্যার বুকে।
হারাম টাকায় আরাম খুঁজো বাইজির
স্তন টিপে। ঘরে সুন্দরী বউ থাকতেও
ক্ষমতার দাপটে প্রতি রাতে জোর করে
তুলে আনো রূপসী রমণী।
শয্যাসঙ্গী বানিয়ে কাটাও উন্মাতাল রাত।
আকণ্ঠ মদ গিলে নেশায় বুঁদ হয়ে
তোমার দেহ নির্গত কয়েক ফোঁটা
দুর্গন্ধময় বর্জ্য নারীর যোনিতে ঢেলে
তৃপ্তির ঢেকুর তোল। সকাল না হতেই
সে রমণীর গায়ে অবলীলায় সেঁটে দাও
পতিতার সাইনবোর্ড নিষিদ্ধ পল্লীর
বেশ্যার উপমায়।


নৈতিক অধঃপতনের প্রান্তসীমায় দাঁড়িয়েও
তোমার পতন হয় না সমাজের চূড়া থেকে।
বরং পোশাকী আভিজাত্যের সব রঙ দিয়ে
আমার গায়ে লিখে দাও পতিতা।
সমাজ থেকে আমি পতিত হই চিরতরে।
ঠাঁই হয় নিষিদ্ধ পল্লীর অন্ধকার ঝুপরি ঘরে।


পাঁচতারা হোটেলের আলো আঁধারিতে
যারা তোমার মনোরঞ্জন করে তাদের জন্য
বরাদ্দ থাকে শিল্পীর খেতাব। আর
নিষিদ্ধ পল্লীর নারকীয় অন্তঃপুরে যারা
তোমার যৌনক্ষুধা মিটায়, তাদেরকে
বলো পতিতা। যৌন শিল্পী বলতে মুখে বাধে।


এক টুকরো গোমাংস ভক্ষণের দায়ে
তোমার ধর্ম যায়, জাত যায়
পিটিয়ে মানুষ মেরেও তোমার গায়ে লাগে না
কোনো কলঙ্কের দাগ। অথচ নোংরা শরীরী
যৌবন পেয়ালায় চুমুক দিয়ে আকণ্ঠ পান করো
বেশ্যার শরীর।
এতে তোমার ধর্ম যায় না, জাত যায় না
তুমি সদর্পে বিচরণ করো সমাজের চূড়ায়।


সমাজ না জানলেও আমি জানি তুমি পতিত।
মুখোশের আড়ালে তোমার লুকানো মুখে
আমি ছুড়ি ঘৃণার থুথু...


১৫-০১-২০১৮