ঝড়ের পাখির মত আমায় ঘিরে আছে এক রাশ নিঃসঙ্গতা।
বুকের গভীরে লুকানো অভিমান
ছটফট করে মনে সীমাহীন অস্থিরতা।
শুধু তোমাকে মনে পরে তাই কান্নারা দোলা দেয় আঁখির কিনারায়।


শুধু জানতে ইচ্ছে করে কেন এই নিষ্ঠুরতা?
তুমিই আমার সেই মানসী
যার বুকের পাঁজরে ঘামের গন্ধে
আমার ঘ্রানশক্তি খুঁজে বেড়াতো অন্য মাদকতা,
যার এলোচুলে নেশার ঘোর
আর সিক্ত ঠোঁটের স্পর্শে সুড়সুড়ি জাগানো মাতাল উষ্ণতা।
শেষ রজনীর নিস্তব্ধতায় ছন্দহীন সুরে ঢেউয়ের নৃত্য,
তারপর
তোমার ঐ খোলা বুকে অসার হয়ে পড়ে থাকার দুর্বল মুহূর্তে
আমার মাথায় বিলি কাটা আঙুল গুলোর অসীম মমতার স্মৃতি!
ভুলে থাকা যায়?


আমি দেবালয়ে ছুটে যাই বিধাতার রূপ আঁকি মনের মাধুরিতে
কিন্তু হায় সেখানে তোমার রূপই অংকিত হয়ে যায়।
যতবার বিধাতার নাম জপি ঢের বেশী মনে পরে তোমাকে।
নিস্ফল চেষ্টা শেষে  করি  প্রার্থনা
এ জনমে যাকে হল না পাওয়া  
তার প্রতি কোন অভিযোগ নাই,
তারে  পরজনমে যেন পাই,
স্বর্গ নরক চাইনা আমি, চাইনা দান প্রতিদান
সকল কষ্ট  আমায় দাও, তবু সুখী কর তার প্রাণ!    
অবহেলা দিয়ে কাঁদাল যে আমায়
ভরো না তার চোখ জলের ধারায়
তাকে যেন কভু স্পর্শ না করে কোন বেদনা!
এই অভাগার বোবা কান্না আর পীড়িত দলিত মন,
তবু তারে অনেক ভালোবাসি, বাসবো নিরন্তন!