ধবধবে সাদা গোলাপটা রোজ পাপড়ি মেলে
বাগানকে উজ্জ্বল করে দিত
বাতাস দোলা দিয়ে লাজ ভেঙ্গে ছড়াত  সৌরভ,
ভোমরার চঞ্চলতা বেড়ে যেত আর  
কেড়ে নিত পথিকের দৃষ্টি,
বিভোর হয়ে মুগ্ধতা রেখে যেত রাতের জোনাকি
আনন্দের ঢেউ দিক থেকে দিগন্তে।


প্রতিদিন এক কালো পাখী গোলাপের ডালে বসে
পাখা নাড়ে,নাচে, গায়।
গোলাপের দৃষ্টি কারার চেষ্টা আর কি!
কিন্তু গোলাপ  সাড়া  দেয় দেনা।  দিন আসে দিন যায়............
হঠাৎ একরাতে পাখীর চিৎকারে জড়তা ভাঙ্গে,
পাখী বলছে, "গোলাপ, আমি তোমাকে ভালোবাস অনেক ভালোবাসি "।


গোলাপ উত্তর দেয়, "এ হবার নয়, তুমি কুচকুচে কালো আর ধবধবে সাদা।  
সাদা আর কালোতে মিলন হয় না। মিলন হয়না আসমান আর জমিনে।"
পাখী উত্তর দেয়, রূপের  অহংকার ভাল নয়, বন্ধু।
সৃষ্টি জগতে ভিন্নতা নাই।
এসো ভেঙ্গে ফেলি সব জাত-পাতের ব্যবধান।
জয় করি সকল তুচ্ছতা।
গোলাপ হেসে বলে,
সূর্য উদয়ের আগেই যদি আমার রং লাল হয়,
তবেই তোমার প্রস্তাবে সারা দেব নইলে নয়।
একটুও কালবিলম্ব না করে আপন ঠোঁটে
ডানা কেটে  ছড়িয়ে দিল রক্ত গোলাপের পাপড়িতে।


ভোরের লাল সূর্যটা জেগে ওঠে
আলো ছুঁয়ে যায় উষ্ণতার পরশে,
লালে লাল শতদল নেচে উঠে বাঁধহীন আনন্দে।
নিবিড় মুগ্ধতায় হতবাক, গোলাপ তাই চিনে নেয় পরম বন্ধুকে।  
কিন্তু বড় দেরি করে!!
শত ডাকাডাকি তবু পাখী নিরুত্তর!!
ততোক্ষণে,
দেহ তার নিথর.........
নিষ্প্রাণ পরে আছে মাটিতে প্রেমের পূর্ণতা নিয়ে!!