আসমানের সাত রং
আর সাত বসনের যাদুকরী ঢং,
মনিষাকে এখন বেজায় মানায়।
মনিষার বুকের অন্দর জমিনে সাদা শাড়ি
আর বাহিরে রক্ত জবার চটকদারী,
ভালবাসাকে ব্যাঙ্গাত্মক বধের
এক সুনিপুন কৌশল।


যার ফুটন্ত যৌবন এখন
টুক টুকে সিদুঁরে গোলাপ,
অযথা বিলাপ এখন কি তার শোভা পায়?
পাথরের চাঁই ঘেরা পাহাড়ে
পাথরের নেই হাহাকার।
জমিনের কোমল হৃদয়কে
বোঝে কী সে কোনদিন?


সুর কেটে গেলে স্বরেরা করে বিলাপ।
মনিষা এখন প্রেমের সমাধিতে
জ্বালায় মোমবাতি,
প্রেমাত্মার সূচি কামনায়
হয়ে পড়ে মন্দিরের ব্যাকুল পূজারিনী।
নটিনীর বুকের তটে বৈরাগ্যের ছাপ
তা কি পরিহাসে মোড়ানো  
বৈধব্যের বিরাণ চাদর  মাত্র ?


এখন আমার মনে হয়
সাথী হারা যৌবন,
আর যৌবন হারা সাথী
মনিষাকে সময়ের এক চোরা ঘাতে
শোনাবে যখন সমুদ্র ভাটার গান,
সময়ের কাঁধে ভর রেখে কুলোবেনা তার
খাড়ির সরু জলে সাঁতার কেটে কূলে ওঠার।
দিন যায় কথা থাকে,
কেভাবে কার কথা ভাটার টানের
ফেরারী মাঝি হয়ে।


এখন আমি কেবলি ভাবি-
মনিষার বাঁকা তন্বী দেহ হতে
যখন চাঁদ আর চাঁদনীর রঙ্গীন গিলাপ
খসে পড়ে হবে ছন্দ পতন,  
তখন ক্ষিনাঙ্গী দেহের
খাঁজ আর উন্মুক্ত মোড়ে
ঢিলা সুরতের লেবাস মুড়ে কারা যেন  
নিভাজ মনিষাকে করে যাবে
ভাজ খেলানো এক বিগত যৌবনা নারী।                                                         চলবে.......