অ-সমাপ্ত কবিতা
মোহাম্মদ মোমিনুল হক আরাফাত
গীতা, সামিনা, এপি তোমাদের মতো দেখি,
আমিও স্বপন দিবা রজনী।
সামিনার আছে বশর সাজাবে তাহার সাথে-
এপিতো সন্নাশীনি এখন-
ভুল করে সিকাতের প্রাণে হাত বাড়াল
সিকাত তো উড়াল দিয়ে চলে গেল।
এপির নীরব চোখের জল-
ফিরিয়ে আনবে কখন?
আমিতো জীবনে ভুল করিনাই,
তাই চাই নাই কারো প্রণয়-
তুলির আঁছুড় লাগে নাই হৃদয়ে।
বড় বেশি স্বাদ নাই মনে-
তোমায় কাছে পেতে,
তোমায় হারিয়ে হয়েছি সুখী,
দিয় নাই বিষাদ সাগর পাড়ি।
নীরব রতে আকাশের প্রাণে তাকিয়ে-
বলি নাই দীর্ঘশ্বাষ লুকিয়ে-
তুমি তো মিশে আছো হৃদয়ে,
উদিত হলে সন্ধ্যা তারা হয়ে।
হৃদয় জুড়ে রইলনা কারো ভালবাসা,
চিত্তের মাঝে আঁকা নাই তোমার ছবি প্রিয়তমা।
সিগেরেটের নিকুটিন চেয়ে গেলো কেন? হৃদয় জুড়ে।
না! না! না! আমি বাসিনাই ভালো।
গীতা সেতো আছে সু-দূর প্রবাসে,
কী করে জানব? হৃদয়ে কে বসত করে।
কে যেন নীরবে এসে ধরে ছিল তাহারি হাত খানা-
তাহারে নিয়ে আঁকে আলপনা।
জাকির ভাইয়ের,
     দিবা আছে হৃদয় জুড়ে।
ইন্দ্রনীল- রিজন ভাই
      কবিতার প্রেমে মগ্ন দু-জন।
নাহিদ.
   নীলাকে হারিয়ে হার মানল দেবদাস
নাহিদ বলে যত বার পড়ে মনে তোমায় নীলা,
তত বার চলে বিয়ার আমার।
আমি???
  এই আমি নাই আর বেঁচে
মনে হয় বুকের ভিতর প্রাণটা গেল চলে।
আমার হৃদয়ে পরমাণু মেরে,
ফুটালে ফুল তার হৃদয়ে।
তবু করিনাই দুঃখ আমিতো কবি!
কবিদের নাই প্রয়োজন সুখ,
যত পার দাও দুঃখ।
জন্ম নিয়ে ছিলাম মানব ঘরে-
বিষাদের সাগরে ডুবে হয়েছি কবি।
এপি তোমায় কিছু বলার আছে?
সামিনা তুমিও শোনবে?
  প্রিয়তমা তুমি তো হলে মা,
আমি কেন হতে পারিনাই বাবা?
এই চোখে চোখ রেখে বলেছিলে
দু জন দু জনার চির জীবনের সঙ্গী।
চলব দু জন হাতে হাত রেখে-
আজ কেন বিশ্বাস ঘাতকের মতো-
আমায় রেখে শূন্য বালিচরে,
হয়ে গেলে তুমি মা,
আমি বাবা হতে চাই।
প্রিয়তমা বলে,
    কার বাবা?
কবি,
  বুঝনা কেন প্রিয়,
তোমার সন্তানের বাবা।
১৫ আষাঢ় ১৪২২ বাংলা,
২৯-৬-২০১৫